শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামের সেই পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ফের ডেঙ্গুর প্রকোপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের ফয়েস লেক এলাকার বাসিন্দা সুনীল বৈদ্যের মেয়ে সুমি বৈদ্য (১৯) গত ৬ অক্টোবর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর পরপরই চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় নগরের পাহাড়তলী ওয়ার্ডের বিশ্ব কলোনি ও ফয়েস লেক এলাকা থেকে সংগ্রহ করা স্যাম্পলে এডিশ মশার লার্ভা ও পিউপির  অস্তিত্ব মিলছে বলে জানানো হয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর, সিটি করপোরেশনকে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করার অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফলে ওই এলাকায় ফের ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় পাহাড়তলী ওয়ার্ডের বিশ্ব কলোনি থেকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ফলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে সবার মধ্যে।  বিআইটিআইডির ক্লিনিক্যাল ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী গত কয়েক দিনে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে সবগুলো রোগীই চট্টগ্রাম নগরের একটি এলাকার।’  তিনি বলেন, ‘এ বছর বিআইটিআইডিতে ১৪৬ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ২০ জন।’  জানা যায়, সিভিল সার্জনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ফয়েস লেকের আবদুল হামিদ সড়কে ৫ নম্বর রোডের কয়েকটি এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য বিভাগীয় কার্যালয়ের একটি দল ও কীট তত্ত্ববিদরা মশক সার্ভে করেন। এ সময় সেখানে এডিস মশার লার্ভা ও পিউপি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ওয়ার্ডের বিশ্ব কলোনি এলাকাতেও সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানেও মিলেছে এডিস মশার লার্ভা ও পিউপি।

 আক্রান্তদের অধিকাংশই এলাকার পার্শ্ববর্তী ইউএসটিসি ও ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।’  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর