রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে বিদেশিরাও ছুটে আসবেন

-নসরুল হামিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবুজে ঘেরা পরিবেশে নির্মাণ করা হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। যা দেখতে শুধু এশিয়া মহাদেশ থেকে নয়, সারা বিশ্বের মানুষও দর্শনার্থী হয়ে আসবেন।

তিনি গতকাল দুপুরে কেরানীগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মিলিয়ে ৪০ জনকে চেক প্রদান করা হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে চেক গ্রহণ করেন এজিএম ল্যান্ড পার্সেস কর্মকর্তা মো. মোহসিন মিয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শাহীন আহমেদ। প্রতিমন্ত্রী এ সময় তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন কেরানীগঞ্জবাসী। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাইন এতই উন্নত ও আধুনিক হবে- যা দেখার জন্য অনেকেই এখানে ছুটে আসবেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। এরই মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে জমি অধিগ্রহণ ও সীমানা প্রাচীর এবং লেক নির্মাণসহ ছোটখাটো কাজের ব্যয় হিসেবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ জনগণের শেষ আশ্রয়স্থল বলেই প্রতি জমির মালিকের মনে যাতে কোনো দুঃখ না থাকে- সে জন্য প্রত্যেকে জমির বর্তমান মূল্যের চেয়ে ৩ গুণ বেশি টাকা দেওয়ার কথা বলে দিয়েছেন। আর এই টাকা যেন সঠিক ব্যক্তিরা পান, সে দিকেও কঠোর নজর রাখতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ীই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজ করা হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্দিকে লেক, মাঠ, গাছপালায় ভরা থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে এক হল থেকে অন্য হলে যেতে পারে সে জন্য ট্রাম থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এ এলাকার রাস্তা প্রশস্ততা হবে ৮০ ফিট। নদীর পাড়ে জেটি থাকবে, ঘাটও থাকবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তৈরি করতে যারা জমি দিয়েছেন আমি মনে করি তারা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, বরং তারা লাভবান হয়েছেন। কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয় হবে একটি আন্তর্জাতিক মানের সুদর্শন স্থান। স্থানীয় ছেলেমেয়েরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য অনেক সহজেই আসা-যাওয়া করতে পারবে।

সর্বশেষ খবর