বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিসিবি পরিচালক লোকমানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা

ক্যাসিনোর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্যাসিনোকান্ডে অভিযুক্ত মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের ডিরেক্টর ইনচার্জ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা করা হয়।

সিআইডির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার নামে ক্যাসিনোর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করে তা অস্ট্রেলিয়ায় দুই ব্যাংকে পাচারের অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত হলে তা নিয়ে অনুসন্ধানে নামে তারা। পরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদের সহায়তায় লোকমানের বিষয়ে সরকারি/ বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

সেলিম প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধানকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে সংস্থাটির একটি টিম গতকাল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মামলায় সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক বলছে, অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন গোপন সূত্র থেকে জানা গেছে, সেলিম প্রধান তার অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দ্বারা দেশের বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে একাধিক প্লট, বাড়ি ও ফ্ল্যাট অর্জন করাসহ  দেশে-বিদেশে নামে-বেনামে শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

কাউন্সিলর রাজীবের দুটি গাড়ি জব্দ : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলার পর এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের দুটি গাড়ি জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ভেড়িবাঁধ এলাকা থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী গাড়ি দুটি জব্দ করেন। কমিশনের জনসংযোগ কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, দুটি গাড়ির মধ্যে একটি নম্বরবিহীন এবং ভাঙা অবস্থায় দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত হিসেবে পড়ে ছিল। অন্য গাড়ির নম্বর ঢাকা-ভ-১৪৯৩। এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

এর আগে ৬ নভেম্বর ২৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজীবের বিরুদ্ধে মামলা করে কমিশন। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা করা হয়। দুদকের দাবি, অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি এ সম্পদ অর্জন করেছেন; যার বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ ভোগদখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। ১৯ অক্টোবর র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন কাউন্সিলর রাজীব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর