রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নিষিদ্ধ হিযবুতের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধানসহ ১৫ সদস্য আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান আবুল মোহাম্মাদ এরশাদুল আলমকে (৩৯) আটক করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে আরও ১৪ হিযবুত সদস্যকেও আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- ওয়ালিদ ইবনে নাজিম (১৮), ইমতিয়াজ ইসমাইল (২৫), আবদুল্লাহ আল মাহফুজ (৩০), নাসিরুদ্দিন চৌধুরী (২৯), নাজমুল হুদা (২৭), লোকমান গনি (২৯), মোহাম্মাদ করিম (২৭), আবদুল্লাহ আল      

মুনিম (২২), কামরুল হাসান রানা (২০), আরিফুল ইসলাম (২০), আজিমুদ্দিন (৩১), আজিমুল হুদা (২৪), আফজাল হোসেন আতিক (৩৫), মো. সম্রাট (২২)। চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে অভিযান চালিয়ে এ ১৫ জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সিএমপির দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফের নেতৃত্বে শুক্রবার রাতে শুরু হওয়া অভিযান গতকাল ভোর পর্যন্ত চলে।

শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার একটি বাসায় বৈঠকরত অবস্থায় ১৩ জনকে ও বায়েজিদ থানা এলাকার অন্য একটি বাসা থেকে দুজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন সেট, জিহাদি বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। আটক হিযবুত তাহরীর আঞ্চলিক প্রধান এরশাদুল নগরের একটি বেসরকারি ইংরেজিমাধ্যম স্কুলের শিক্ষক। পুলিশের এক সূত্র জানান, ছয় মাসের অনুসন্ধান চলছিল এ অভিযানের জন্য। নগরের সাতটি স্থানে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে এ অভিযান চলে। অভিযানে ৫০ জন অফিসার অংশ নেন।

শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ আরও জানান, কয়েকদিন ধরে হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা আসকারদীঘি ও আশপাশ এলাকায় পোস্টার-লিফলেট বিলি করছিলেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। এসব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তাদের শনাক্তের চেষ্টা করা হয় এবং বিভিন্ন এলাকায় নজরাদারি বাড়ানো হয়। শুক্রবার দুপুরে আন্দরকিল্লা জামে মসজিদের সামনে লিফলেট বিলি করার সময় দলটির সদস্য ওয়ালিদ ইবনে নাজিম ও ইমতিয়াজ ইসমাইলকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অন্য সদস্যদের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায়। পরে সন্ধ্যা থেকে নগরের নতুন চান্দগাঁও আবাসিক ও বায়েজিদে অভিযান চালিয়ে অন্যদের আটক করা হয়। কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আবুল মোহাম্মদ এরশাদুল আলম হিযবুত তাহরীরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান। তিনি চট্টগ্রামের একটি ইংরেজিমাধ্যম স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ও বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের গুনাগরী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি বায়েজিদ চক্রেসো কানন আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন। তাদের কাছ থেকে সংগঠনের ২ লাখ ৮২ হাজার টাকা, দুটি ল্যাপটপ ও ডিভাইস, একটি মোটরসাইকেল, প্রচারপত্র, গঠনতন্ত্র, ট্রেনিং ম্যানুয়াল উদ্ধার করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর