শিরোনাম
সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

হোল্ডিং বেশি বরাদ্দ কম

জয়শ্রী ভাদুড়ী

হোল্ডিং বেশি বরাদ্দ কম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চলমান বাজেটে প্রতিটি ওয়ার্ডে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫ কোটি টাকা। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হোল্ডিং সংখ্যা ১ হাজার ৩৬১। সেখানে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের হোল্ডিং সংখ্যা ৫ হাজার ৮৮০। অধিক জনগোষ্ঠীর এ ওয়ার্ডে অল্প বরাদ্দে উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে তিন প্রার্থীর নাম রয়েছে আলোচনায়। ডিএনসিসি সূত্র জানায়, রাজধানীর খিলক্ষেত, কুড়িল, কুড়াতলী, জোয়ার সাহারা (ওলিপাড়া), জগন্নাথপুর নিয়ে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত হয়েছে। ওয়ার্ডের মোট আয়তন ৫ দশমিক ৪ বর্গকিলোমিটার। মোট ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ৮৮৯। এটি ডিএনসিসির অন্যতম বড় ওয়ার্ড। সে তুলনায় ২ নম্বর ওয়ার্ডের  আয়তন ৩ বর্গকিলোমিটার। হোল্ডিং সংখ্যা ৪ হাজার ৯০২। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আয়তন ১ বর্গকিলোমিটার। হোল্ডিং সংখ্যা ৩ হাজার ১৫০। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আয়তন ১ দশমিক ৩ বর্গকিলোমিটার। হোল্ডিং সংখ্যা ২ হাজার ১৯০। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আয়তন ৩ বর্গকিলোমিটার। হোল্ডিং সংখ্যা ৩ হাজার ১৩৫। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আয়তন ১ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার। হোল্ডিং সংখ্যা ২ হাজার ৯৮১। অধিকাংশ ওয়ার্ডের হোল্ডিং সংখ্যা এবং ভোটার সংখ্যা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ে কম। কিন্তু বরাদ্দ সবার একই। ডিএনসিসি-১৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ডা. জিন্নাত আলী। তিনি বলেন, এ ওয়ার্ডের আয়তন এবং ভোটার অনেক বেশি। প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ কম। উন্নয়ন কাজে পরিকল্পনার সঙ্গে বরাদ্দের বিষয়টিও হিসেব করতে হয়। এ এলাকার জলজট সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি। এ ছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এ ওয়ার্ড সিটি করপোরেশনে উদাহরণ তৈরি করেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন ডা. জিন্নাত আলী। আওয়ামী লীগের মনোয়নে তিনি কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল নির্বাচনে ডিএনসিসি-১৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হয়েছেন ডা. জিন্নাত আলী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোহাম্মদ আলী শেখ, মো. ইসহাক মিয়া, মো. নুরুল ইসলাম, মো. রাকিব আহসান, মো. শাহ-আলম চঞ্চল, মো. শাহিনুর আলম। আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছে ডা. জিন্নাত আলী, ইসহাক মিয়া, আসলাম উদ্দিনের নাম। ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নম্বর সদস্য ডা. জিন্নাত। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। দলের মনোনয়ন পেলে আসন্ন নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হতে চান জিন্নাত আলী। ভাটারা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসহাক মিয়া দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে যুক্ত। আগে তিনি ছাত্রলীগ ও যুবলীগ করেছেন। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। এবার তিনি কাউন্সিলর পদে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিনও আছেন আলোচনায়। দলের মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবেন তারা। খিলক্ষেত, কুড়াতলী এলাকার দেওয়ালগুলোতে শোভা পাচ্ছে কাউন্সিলর পদ প্রার্থীদের পোস্টার।

খিলক্ষেত মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফরমান আলী বলেন, আগে এ এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমত। কিন্তু রাস্তাঘাট, ড্রেন উন্নয়ন করায় এবার বর্ষায় কোনো জলজট হয়নি। চায়ের দোকানের পাশে বসে ছিলেন ফজলে উদ্দিন। তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজ হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। অটোরিকশা চালক, কাঁচাবাজারের দোকানিদের নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। রাস্তাগুলো আরেকটু প্রশস্ত করা প্রয়োজন। মশক নিধন কার্যক্রম আরও বেশি জোরদার করতে হবে। সন্ধ্যা হলে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে যাই।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর