কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সুহৃদ ও স্বজনদের ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় তার মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সেখানে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তার মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্বের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।
এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আরও শ্রদ্ধা জানান জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রবিউল হুসাইনের দুই ভাইসহ ছেলে জিসান হুসাইন রবিন।শ্রদ্ধা প্রদান শেষে দীপু মনি বলেন, স্থপতি রবিউল হুসাইন দেশের সব প্রগতিশীল আন্দোলনে সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে থেকে তাদের প্রেরণা জুগিয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, রবিউল হুসাইন কবি হিসেবে বিশিষ্টজন ছিলেন, তার নিজের যে বিদ্যা, স্থাপত্যবিদ্যা, সেখানেও তার একটা ভূমিকা ছিল। রবিউল হুসাইন সব সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে চলেছেন।
এ ছাড়া তার প্রতি আরও শ্রদ্ধা জানায় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলা একাডেমি, কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এরপর কবি রবিউল হুসাইনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে বাদ জোহর জানাজার পর স্বজনরা তার মরদেহ নিয়ে যান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। আর বিকালে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।