বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
রাসেল হত্যা

খুনিরা অধরা, জেল খাটছে নিরপরাধ শিশু-তরুণরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

খুনিরা অধরা, জেল খাটছে নিরপরাধ শিশু-তরুণরা

রাজশাহীতে যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন রাসেল হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতরা এখনো অধরা। খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে পরিবারের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়েছে। নগরীজুড়ে সাঁটানো হয়েছে পোস্টার। ওই পোস্টারে হত্যায় অংশ নেওয়া অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ছবি দেওয়া হয়েছে। মূল হত্যাকারীরা গ্রেফতার না হলেও জেল খাটছে নিরপরাধ শিশু ও তরুণরা।

মামলার বাদী মনোয়ার হোসেন রনি বলেন, ‘আমরা মামলায় যাদের নাম দিয়েছি, গ্রেফতারকৃতরা এরা না। আমরা পুলিশকে বলেছি, এরা তো ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। কিন্তু পুলিশ এদের ধরে নিয়ে গিয়ে নাম দিয়ে দিয়েছে।’ নগরীর শিরোইল কলোনির মুজাহিদ ইসলামের জেএসসি পরীক্ষা ছিল ১৩ নভেম্বর। পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে দুপুর ২টার দিকে। তার আগেই ঘটে যাওয়া হত্যাকা-ের ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। একই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে জেএসসি পরীক্ষার্থী কামাল উদ্দিনকে। শুধু এই দুই জেএসসি পরীক্ষার্থী নয়, ঘটনার সময় রাজশাহীতে ছিলেন না এমন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শাহীনুর রহমানকেও এ মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা তিনজনই এখন কারাগারে।

মুজাহিদ ইসলামের মা হোসনে আরা বেগম অভিযোগ করেন, পুলিশ তার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা চেয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

কামাল উদ্দিনের বাবা জামাল উদ্দিন জানান, কামাল পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি এসে সন্ধ্যার দিকে মোড়ে গেলে একটি ক্লাব ঘরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তারা পরীক্ষার কাগজপত্র দেখানোর পরেও পুলিশ ছাড়েনি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাহিনুর রহমান ঘটনার দিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছিলেন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর বাড়ির মোড়ে এলে পুলিশ তাকে সেলুন থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

শাহিনের বাবা নূর মোহাম্মদ সরদার জানান, পুলিশ কারও কোনো কথা না শুনেই পাড়ার মোড়ে যাকে পেয়েছে তাকে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে।

এদিকে মূল হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে নগরীজুড়ে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ওই পোস্টারে এই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত দাবি করে ৯ জনের ছবি দেওয়া হয়েছে। ওই ৯ জনের একজনকেও পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর পশ্চিম রেলের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুপুরে রাসেলের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রাজার ওপর হামলা হয়। তাকে বাঁচাতে গেলে ছুরির আঘাতে জখম হন রাসেল। পরে তার মৃত্যু হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর