শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কয়েকগুণ বেশি দামে কেনা সেই মেশিনগুলো নষ্ট

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

একটি এমআরআই (মেগনেটিক রিজনেন্স ইমেজিং) মেশিনের বাজারমূল্য দুই কোটি ৮০ লাখ টাকা। কিন্তু চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এর ক্রয়মূল্য দেখিয়েছে ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চারটি ইকোকার্ডিওগ্রাফি মেশিনের বাজারমূল্য এক কোটি আট লাখ ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু সেগুলো কিনতে ব্যয় দেখানো হয়েছে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের ২৯ মে থেকে ২০১৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য এসব চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনা হয়েছিল। অথচ বাজারমূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে কেনা এসব যন্ত্রপাতি এখন নষ্ট। এতে চিকিৎসাসেবায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এমআরআই মেশিনটি গত দেড় মাস ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এ মেশিন দিয়ে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি এমআরআই করা যেত। পক্ষান্তরে গত এক মাস ধরে নষ্ট ইকোকার্ডিওগ্রাফি মেশিন। এ মেশিন দিয়ে দৈনিক ৮ জন রোগীর পরীক্ষা করা হতো। শরীরের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম রোগ নির্ণয়ে অতিজরুরি এমআরআই এবং হৃদরোগীদের জরুরি রোগ নির্ণয় করা হয় ইকোকার্ডিগ্রাফি মেশিনটি দিয়ে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমারনাথ বলেন, ‘এমআরআই মেশিনটির একটি অংশ নষ্ট হওয়ায় সেটি এখন কাজ করছে না। তবে এটি মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ইকোকার্ডিওগ্রাফি মেশিনটির ফিল্ম খুব ঝাপসা আসতেছে। তাই এটি দিয়ে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে আমরা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু ইতিমধ্যে এটির ওয়ারেন্টি চলে যায়। আর মেরামতও ব্যয়বহুল। এ ব্যাপারে আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরে যোগাযোগ করেছি।’  

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য অতিরিক্ত মূল্যে এসব যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কিনে মোট ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদী হয়ে চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি (নম্বর ৪৬) দায়ের করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর