শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চলন্ত রাস্তা বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ চান আবু সাইয়ীদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে যানজট নিরসনে চলন্ত রাস্তা নির্মাণে পাইলট প্রকল্প গ্রহণের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এর উদ্ভাবক চলচ্চিত্র পরিচালক আবু সাইয়ীদ। গত ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে চলন্ত রাস্তার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। নগরবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে চলন্ত রাস্তার ধারণা বাস্তবায়নে অবিলম্বে উত্তর সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান  জানিয়েছেন আবু সাইয়ীদ। চলন্ত রাস্তার ধারণা বাস্তবে রূপ দিতে বিগত ১৮ মাস সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে সভা এবং চিঠি আদানপ্রদান করেছেন আবু সাইয়ীদ। তিনি মনে করেন চলন্ত রাস্তা পদ্ধতি ঢাকা শহরের বায়ু দূষণ এবং যানজট দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চলন্ত রাস্তা স্থাপনের মধ্য দিয়ে রাজধানীবাসী পাঁচটি বিষয়ে উপকৃত হবেন। এগুলো হলো- শহর ট্র্যাফিকজ্যাম মুক্ত হবে। এটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। জ্বালানি খরচ কমবে। পরিবহন খাতের বার্ষিক ব্যয় কমবে। এর বাস্তবায়ন খরচ কম আর এটি সাধারণ কারিগরি দক্ষতায় বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে গত ২৭ জুন এ বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলেও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দফতরগুলোতে গিয়ে তেমন সাড়া দিচ্ছে না বলে আবু সাইয়ীদ হতাশা প্রকাশ করেন।

এর আগে ২০১৭ সালে বাংলামোটর, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে প্রকল্পটির ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া একই বছর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ভাস্কর্য গ্যালারিতে চলন্ত রাস্তার মডেল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এরই মধ্যে সড়ক পরিবহন ও জনপথ বিভাগ ধারণাটি বিবেচনায় আনে এবং বিআরটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা বলে। এরপর বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিআরটিএ, ডিটিএস ও সংশ্লিষ্ট বিভাগে এ নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আবু সাইয়ীদ জানান, গত দুই বছর ধরে সব ধরনের কাজ বন্ধ রেখে এই প্রকল্পটি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এতে করে তার চলচ্চিত্র পরিচালনার কাজও ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে যদি সরকারের পক্ষ থেকে এ কাজের জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া না হয় তবে এই কাজ একা চালিয়ে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব হবে না। এরই মধ্যে এই প্রকল্পটির একটি পরীক্ষামূলক কাঠামো দাঁড় করাতে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হয়ে গিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর