ঋণের টাকা শোধ করতে বেছে নিয়েছিলেন মাদক পাচারের মতো ভয়াবহ কাজ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে যান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। ১৫ ঘণ্টার চেষ্টায় তার পেট থেকে বের করা হয় প্রায় ৩ হাজার পিস ইয়াবা। আটকের পর শাহীন (৩৫) নামে ওই ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশকে এসব জানিয়েছেন। নভোএয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রবিবার রাতে তিনি কক্সবাজার থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। ইয়াবাগুলো হস্তান্তরের জন্য ঘোরাফেরা করছিলেন বিমানবন্দরের বাইরে। সন্দেহজনক মনে হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করে আর্মড পুলিশের দায়িত্বরত সদস্যরা। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার পেটে ইয়াবা থাকার কথা স্বীকার করেন। গতকাল সন্ধ্যায় বিমানবন্দর থানায় এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস অ্যান্ড মিডিয়া) আলমগীর হোসেন জানান, রবিবার রাত ১০টার সময় শাহিন বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের বহির্গামী রাস্তার কাছে গাড়ি পার্কিং এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। পরে তার পাকস্থলী থেকে দুই হাজার ৯০৫ পিস ইয়াবা বের করা হয়। জব্দ ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য ১৪ লাখ টাকা। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে- কক্সবাজারের বালুখালীর সেলিম তাকে ইয়াবাগুলো দেয়। টঙ্গীর চেরাগ আলীর হাবিব (বাড়ি করিমগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ) তাকে এই ইয়াবা আনার জন্য নিয়োগ করে। বিনিময়ে তার কাছে পাওনা ৪০ হাজার টাকা মাফ করে দিবেন বলে জানায়। টাকাগুলো শাহীন বিদেশ যাওয়ার জন্য বছরখানেক আগে হাবিবের কাছ থেকে নিয়েছিলেন।
জানা যায়, শাহীন বরগুনার সদর থানার পাঠাকাচা হেলিবানিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের পুত্র।