বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
চসিকের নতুন খাল খনন প্রকল্প

অনুমোদনের সাড়ে পাঁচ বছর পর খনন প্রক্রিয়া শুরু

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০১৪ সালের ২৪ জুন ২৮৯ কোটি  ৪৪ লাখ ৪ হাজার টাকার একটি প্রকল্প একনেক অনুমোদন দেয়। কিন্তু ভূমি জটিলতাসহ নানা কারণে সাড়ে পাঁচ বছরেও খাল খনন কাজ শুরু করতে পারেনি। অবশেষে চসিক খাল খনন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১২৫৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। চসিকের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন প্রকল্পে ভূমি জটিলতা দেখা দেয়। এ সমস্যা নিরসনে চসিক ভূমি মালিকদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ গ্রহণ করে। গত ৩১ জানুয়ারি ৬নং পূর্ব ষোলশহর এবং ৩ ফেব্রুয়ারি ১৮ নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের প্রায় ৩০০ ভূমি মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন খাল খননের কোনো বিকল্প নেই। নানা কারণে কাজটি অগ্রসর হয়নি। কিন্তু পর্যায়ক্রমে সব কাজ শেষ করেছি। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারও। প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও সাত ফুট প্রস্থের খালের দুই পাশেই থাকবে ২০ ফুট প্রস্থের ওয়াকওয়ে। দৃষ্টিনন্দন করা হবে খালের পাড়।’ চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ জুন ২৮৯ কোটি  ৪৪ লাখ ৪ হাজার টাকার প্রকল্পটি একনেক অনুমোদন দেয়।

 ২০১৫ সালে ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮১ হাজার টাকায় প্রকল্পটির প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদকাল ছিল ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ৩০ জুন। তবে নির্ধারিত সময়ে ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পটি সংশোধন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায় চসিক। সংশোধিত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৬১৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। পরে পরিকল্পনা কমিশনের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্পটি পুনরায় সংশোধন করে ৩৭৬ কোটি ১৩ লাখ টাকায় মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মতে আবারও সংশোধন করে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১২৫৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালের মহাপরিকল্পনায় নগরীতে নতুন তিনটি খাল খননের প্রস্তাব করা হয়। পরে চসিক বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে। কমিটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খননের সুপারিশ করে। নতুন খালটি নগরীর বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে চাক্তাই খাল-শাহ্? আমানত সংযোগ সেতু রোড-নুর নগর হাউজিং সোসাইটির মাইজপাড়া-পূর্ব বাকলিয়া-বলির হাট হয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিশবে।

সর্বশেষ খবর