বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ভিডিও কনফারেন্সে ননদ রুবি

সংসদ সদস্য শিউলি আজাদের দৌরাত্ম্যের প্রতিকার চাই

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ তার শ্বশুরালয়ের লোকদের জন্য আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন। এ অভিযোগ করেছেন তার অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ননদ রুবি ইয়াসমিন। অস্ট্রেলিয়া থেকে গতকাল দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন এবং শিউলি আজাদের দৌরাত্ম্যের প্রতিকার দাবি করেন তিনি। রুবি বলেন, ‘শিউলি শুধু আমাদের সহায়-সম্পত্তি বা পরিবারের ওপরই চড়াও হননি, গোটা এলাকার মানুষ তার কর্মকাণ্ডে  ইতিমধ্যে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবীদের সঙ্গে তার চলাফেরার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট।’ শিউলি আজাদ সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। রুবি ইয়াসমিনের বড় ভাই মরহুম ইকবাল আজাদ ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। আরেক ভাই প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আজাদের বিধবা স্ত্রী শিউলি আজাদ। ভিডিও কনফারেন্সে রুবি বলেন, সরাইল বাজারে তাদের পারিবারিক ভবনটির এবং জমিজমার সব আয়-দায় কেড়ে নিয়েছেন শিউলি। সংসদ সদস্য হওয়ার পর তার দৌরাত্ম্য ও অরাজকতা অনেক গুণ বেড়ে যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সন্ধানী ক্লিনিকের ২১টি শেয়ারের মধ্যে মরহুম জাহাঙ্গীর আজাদের নামে ৩টি ও শিউলি আজাদের নামে ৩টি রয়েছে। শিউলি আজাদ তার শেয়ারের টাকা ছাড়াও জাহাঙ্গীর আজাদের ৩টি শেয়ারের টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সন্ধানী ক্লিনিক ও দোকানগুলোর ভাড়াও জোরপূর্বক নিয়ে যান। সন্ধানী বিল্ডিংয়ে অবস্থিত আজাদ ফার্মেসির অগ্রিম ১৮ লাখ এবং বাবুল স্টোর ও মদিনা রেস্টুরেন্ট থেকে অগ্রিম ২০ লাখ টাকাও জাহাঙ্গীর আজাদের মৃত্যুর আগেই শিউলি আজাদ নিয়ে যান। জাহাঙ্গীর আজাদের মৃত্যুর পরদিন সন্ধানী বিল্ডিংয়ের তিন তলায় অবস্থিত তার রুমে এসে শিউলি আজাদ পৈতৃক সম্পত্তির ওয়ারিশানদের সব দলিলপত্র, ব্যবসায়িক সব কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও নগদ টাকা তার গাড়িতে করে নিয়ে যান। একইভাবে সরাইলে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভাড়াও তিনি নিয়ে যাচ্ছেন। সরাইলের মূল বাড়ি বন্ধক রেখে জাহাঙ্গীর আজাদের নামে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড থেকে ৬০ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করে শিউলি আজাদ তার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নেন।

 ইকবাল আজাদের মা জোবেদা খাতুনের ইচ্ছা অনুযায়ী বাড়ির একটি ঘরের সংস্কার করা হয়েছিল। শিউলি আজাদ এমপি হওয়ার পর ওই কক্ষে ভাঙচুর করেন এবং তার শ্বশুর আবদুল খালেকের সংরক্ষিত সব স্মৃতি নষ্ট করে ফেলেন। তিনি বাড়িটা তার নিজের বলে দাবি করতে থাকেন।

সর্বশেষ খবর