বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

খুচরা মূল্যবৃদ্ধির সুপারিশ ওজোপাডিকোর

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির শুনানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) কর্তৃপক্ষ ২০২০ সাল থেকে বিদ্যুতের খুচরা মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। তবে গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব দেয়নি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) কর্তৃপক্ষ। গতকাল রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনের অডিটোরিয়ামে বিদ্যুতের মূল্যহার পরিবর্তনে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে এ প্রস্তাব দেন প্রতিষ্ঠান দুটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। এ গণশুনানির আয়োজন করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কর্তৃপক্ষ।

গণশুনানিতে জুরি বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম। এ ছাড়া জুরি বোর্ডে ছিলেন কমিশনের সদস্য মুর্শেদ, মিজানুর রহমান এবং মাহমুদউল হক ভূঁইয়া। গতকাল বিকালে অনুষ্ঠিত শুনানিতে ওজোপাডিকোর প্রস্তাবে বলা হয়, বিদ্যুতের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি করা হলে খুচরা মূল্যহারও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে খুচরা মূল্যবৃদ্ধি না করা হলে কোম্পানি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তবে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি চার দশমিক ১৩ শতাংশ রিটার্ন বিবেচনায় ২০২০ সালে ওজোপাডিকোর নিট বিতরণ ব্যয় ইউনিটপ্রতি এক টাকা ৭ পয়সা প্রস্তাব করেছে। বিদ্যমান পাইকারি, সঞ্চালন ও খুচরা মূল্যহারে ওজোপাডিকোর কোনো রাজস্ব ঘাটতি নেই। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ওজোপাডিকোর প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ছিল ৫ দশমিক ৬১ পয়সা।

অন্যদিকে সকালে বিদ্যুতের গণশুনানির শেষ দিনে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানান, পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হলে ঘাটতি মেটাতে তাদেরও সমন্বয়ের প্রয়োজন হবে। এ সময় গ্রাম ও শহরে বিদ্যুতের দামের বিষয়ে আলাদা দাম নির্ধারণের দাবি করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর প্রতিনিধিরা। আর দাম বাড়ানোর শুনানির বিরোধিতা করে টিসিবি ভবনের সামনে গতকাল বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর নেতারা। এ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর