বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বদলে গেছে গৃহায়ণ ভবনের চেহারা

নেই দালালদের উৎপাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ‘গৃহায়ণ ভবন’ অর্থাৎ জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কার্যালয়টির এখন অন্য এক চেহারা। অবাঞ্ছিত লোকজনের উৎপাতমুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে স্বচ্ছতার মুখ দেখতে শুরু করেছে। কয়েক দশক ধরে এখানে ছিল দালাল আর দুর্নীতিপরায়ণদের আখড়া। কিন্তু মাত্র এক বছরের ব্যবধানে আমূল পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। বছরের পর বছর- ৫ বছর থেকে শুরু করে ৭, ৮, ১০ এমনকি টানা ১২ বা ১৪ বছর ধরেও অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী এখানে একটা মধুচক্র গড়ে তুলেছিলেন। এই চক্রের যেসব সদস্য কখনই বদলি হতেন না, তারাও এখন বদলি হয়ে ঢাকার বাইরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ইচ্ছা করলেই আইনগত ভিত্তি ছাড়া এখন আর এই প্রতিষ্ঠানে কেউ ভাই কিংবা চাচা, মামা কিংবা খালু বা অন্য কোনো আত্মীয়স্বজনের পরিচয় দিয়ে কোনো কাজের তদবির নিয়ে যেতে পারেন না। মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম গত বছর ৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হয়ে আসার পর তার বিভিন্ন বলিষ্ঠ পদক্ষেপ এই সংস্থার ‘সেবক’ চরিত্র ফিরিয়ে আনতে শুরু করে। কোনো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পেলে তিনি তাতে                স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনবেন। জনসেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে তিনি সকালের একটা অংশই অফিসের নিচতলায় বসে সাধারণ মানুষের অভিযোগ ও আবেদন শোনেন। বিশেষ করে নামজারি, হস্তান্তর, বন্ধক, দায়মুক্তি, রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি কাজের সেবাই বেশি দিতে হয় তাদের। এসব কাজে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ইতিমধ্যে তিনি তাঁর অফিস থেকে ৩০ জনের মতো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঢাকার বাইরে বদলি করতে বাধ্য হয়েছেন।

আর বাকি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছ থেকেই প্রত্যাশিত সহযোগিতা পাচ্ছেন তিনি। তাদের জন্য মাসের প্রথম কার্যদিবসেই ইলেকট্র্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে বেতন প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চেয়ারম্যান বলেন, কর্তব্য পালনে আমি গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব শহিদুল্লাহ খন্দকারের কাছ থেকে সক্রিয় সহযোগিতা পাচ্ছি। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি জানান, দুর্নীতি-অনিয়ম দূর করার প্রশ্নে কঠিন মনোভাব পোষণ করেন মন্ত্রী। তাই তিনি সহজেই সব ধরনের অন্যায় নির্দেশ বা তদবির এড়িয়ে যেতে পারছেন। এ ছাড়াও প্লট/ফ্ল্যাট বরাদ্দে আবেদনকারীদের মধ্যে লটারির স্বচ্ছতার বিষয়টি তিনি বুয়েটের কারিগরি সহায়তায় নিশ্চিত করেছেন। কার্যালয়ের নিচতলায় স্বচ্ছ অভিযোগ বাক্স স্থাপন করেছেন। যার চাবি তিনি নিজেই সংরক্ষণ করে সেসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর