অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০৩০-এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আর মাত্র এক দশক বাকি আছে। আমরা যুবসমাজ, পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে পেয়ে ছিলাম একটি বাসযোগ্য সুন্দর পৃথিবী। এখন আমাদের তথা সারা বিশ্বের মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে আজ এবং আগামীর জন্য আরও সুন্দর, আরও স্বপ্নময় একটি পৃথিবী রেখে যাওয়া। গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিন দিনব্যাপী বুসান ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ ফোরাম ও কার্যকর উন্নয়ন সহায়তার লক্ষ্যে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক ১৮তম স্টিয়ারিং কমিটির সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল কো-চেয়ার হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে যেসব দেশভিত্তিক সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করা ও প্রত্যেক দেশের নাগরিকদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক খাতে অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠন করতে হবে।
প্রত্যেক দেশের নিজস্ব যে সম্পদ আছে তা থেকে সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অন্তরায় সৃষ্টি করা উচিত নয়। বাংলাদেশের সম্পদ হলো এর বিপুল কর্মঠ জনগোষ্ঠী। এ জনশক্তির দেশে-বিদেশে কাজের ব্যবস্থা করে দিতে হবে এবং কোনো প্রকার বাধা দেওয়া যাবে না। নজর দিতে হবে কোনো দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অস্বাভাবিক সমস্যা সমাধানের দিকেও। যেমন বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়া মিয়ানমার থেকে আগত এক মিলিয়নের মতো যে রোহিঙ্গা আছে তাদের সমস্যার আশু সমাধান করতে হবে। এ ছাড়া তুরস্ক, জর্ডান ও ফিলিস্তিনের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্য বেশি পরিমাণে কার্বন নিঃসরণকারী দেশেগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মানবসৃষ্ট বাণিজ্য বাধা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো সমস্যা মানুষই পারবে সমাধান করতে। এসব সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে প্রত্যেক দেশ তথা বিশ্ব লাভবান হবে। আমরা আজ এবং আগামীর জন্য আরও সুন্দর নিরাপদ পৃথিবী নিশ্চিত করে যেতে পারব।
