চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এবং হালদা নদীতে বিচরণ করে ডলফিন। কিন্তু এ দুই নদীতে ডলফিনের মৃত্যু থামছেই না। গতকাল দুপুরেও উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর আকবরিয়া এলাকা থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর ডলফিনটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিভার রিচার্স ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডলফিনের চোখ নেই। মূলত ইকো সাউন্ড দিয়ে এরা চলাফেরা ও খাবার সন্ধান করে। এদের শরীরের গঠনও নরম প্রকৃতির। ড্রেজারের প্রপেলার বা অন্য কোনো অংশের আঘাত এরা সহ্য করতে পারে না। তাই কোনো সামান্য আঘাতেই তাদের মৃত্যু হয়ে যায়। অভিযোগ আছে, হালদা নদীর মা মাছ রক্ষায় নদীতে ড্রেজার ও ইঞ্জিনচালিত বোট চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু অসাধু কিছু মাছশিকারি এ নিষেধাজ্ঞা মানছে না। তারা নানাভাবে ইঞ্জিনচালিত বোট চালাচ্ছে। ফলে ইঞ্জিনের পাখায় ধাক্কা খেয়ে মারা যাচ্ছে ডলফিন। হালদা রিভার রিচার্স ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘গতকাল দুপুরে আকবরিয়া এলাকা থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়। এটির গায়ে একটি আঘাতও আছে। এটি হয়তো কয়েকদিন আগেই মারা গেছে।’