সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ক্লাবপাড়ার সম্মান ফেরানোর অঙ্গীকার প্রার্থীদের

আরাফাত মুন্না

ক্লাবপাড়ার সম্মান ফেরানোর অঙ্গীকার প্রার্থীদের

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করে ক্লাবপাড়ার সম্মান ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সড়কবাতি, সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ, পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিত ওয়ার্ড গড়তে সবার সহযোগিতা চান তারা। নগরীর প্রাণকেন্দ্র ব্যাংক ও অফিসপাড়া হিসেবে পরিচিত এ ওয়ার্ডের নাগরিক সমস্যা দূর করার পাশাপাশি মাদক ও চাঁদাবাজ নির্মূলেও কাজ করার অঙ্গীকার তাদের। প্রায় দেড় লাখ জনসংখ্যা ও ৩০ হাজার ভোটার রয়েছেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। এখানে হোল্ডিং রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮০০। মতিঝিলের একাংশ, আরামবাগ ও ফকিরাপুল নিয়ে এ ওয়ার্ড গঠিত। ডিএসসিসির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন- মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগ নেতা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম শামীম, ঢাকা বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর কমিটির সাবেক সদস্য মো. বাহালুল আলম (বাহার), আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর কমিটির সাবেক দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহীনুর রহমান (শাহীন)। এ ওয়ার্ডে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা বলেন- শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এইচ এম মাহবুব (হাবিবুল্লা মাহবুব), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-ক্রীড়া সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সদ্য বহিষ্কৃত কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ জনগণের জন্য কাজ না করে সে নিয়ন্ত্রণ করত মতিঝিল এলাকার সড়কের ফুটপাথের বাজার। খাবারের দোকান ও মতিঝিলের বিভিন্ন ক্লাব থেকেও তার বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। নৈশপ্রহরীর নামে প্রতিটি বাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করত। এখনো তার ক্যাডার বাহিনী সক্রিয়ভাবে এলাকায় নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। কাউন্সিলর প্রার্থী আমিনুল ইসলাম শামীম বলেন, আমরা চাই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোর সুনাম ফিরিয়ে আনতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেন, তাহলে আমি নির্বাচন করব। তবে আমি চাই এ ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দারা জনপ্রতিনিধি হয়ে আসুক। তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে কমিউনিটি সেন্টার ও মাঠ নিয়ে কাজ করব। এলাকার নাগরিক সমস্যা দূর করার পাশাপাশি মাদক নির্মূলেও কাজ করার অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেন শামীম। ক্লাবপাড়ার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়েছেন আরেক প্রার্থী মো. বাহালুল আলম বাহারও। তিনি বলেন, আমি জনগণের প্রতিনিধি হয়ে আসতে কাউন্সিলর হতে চাই। আমি যেমন এলাকায় কোনো চাঁদাবাজি করব না, তেমনি নির্বাচিত হলে কাউকে এলাকায় কোনো চাঁদাবাজি করতেও  দেব না। কাউন্সিলর প্রার্থী শাহীনুর রহমান শাহীন বলেন, নির্বাচিত হলে এলাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে বেশি কাজ করব। এ ছাড়া ক্লাবপাড়ার ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারেও কাজ করবেন বলে জানান তিনি। এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এইচ এম মাহবুব বলেন,  বিগত পাঁচ বছর এ ওয়ার্ডে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি। অফিসপাড়ায় প্রিন্টিং প্রেস এরিয়াকে আধুনিকায়ন করব। ক্যাসিনো বাণিজ্যের কারণে মতিঝিল ক্লাবপাড়ার যে সম্মান ক্ষুণœ হয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে কাজ করব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর