মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সম্মেলন ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা

কে হচ্ছেন খুলনা নগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে দুপক্ষে হাতাহাতি ও পরে সমাবেশস্থলের বাইরে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ বিষয় মাথায় রেখেই কঠোর সাংগঠনিক নিরাপত্তার মধ্যে আজ খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে একই মঞ্চে নগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। প্রায় পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনে শক্তিশালী কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন নেতা-কর্মীরা।

জানা যায়, নগর ও জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি পদে বিকল্প প্রার্থী না থাকায় পুনর্বহাল থাকছেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ। তবে দুই ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় হিসাব মেলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। শীর্ষ  পদগুলোতে চমকের অপেক্ষায়ও রয়েছেন অনেকে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করতে চাইছেন স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, দলীয় প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেই কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনায় আসবেন। যদি কোনো বার্তা থাকে সেটা তারা জানাবেন এবং কাউন্সিলর-ডেলিগেটরা তা মেনে নেবেন। কিন্তু যদি কোনো বার্তা না থাকে তাহলে নেতা নির্বাচনের জন্য প্রস্তাবক ও সমর্থনকারী নিয়ে কাউন্সিলরদের মতামত নেওয়া হবে। 

এদিকে সম্মেলনে শৃঙ্খলা নষ্ট করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি। রবিবার সন্ধ্যায় খুলনায় দলের নির্বাহী কমিটির সভায় তিনি বলেন, সম্মেলনে একাধিক প্রার্থী থাকতে পারেন। আমার ব্যক্তিগত কোনো পছন্দ নেই। দলীয় প্রধান যাকে যোগ্য মনে করবেন তিনিই আমার প্রার্থী। সম্মেলনের পর কোনো রেষারেষি থাকবে না। সম্মেলনে কেউ শৃঙ্খলা নষ্ট করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর