মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিরোধে কপাল পুড়ল ফারুক-আসাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বিরোধে কপাল পুড়ল ফারুক-আসাদের

আলোচনা ছিল জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে চমক আসবে। কিন্তু এতটা চমক থাকবে তা তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ভাবতে পারেননি। পাঁচ বছর পর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ পেয়েছে নতুন নেতৃত্ব। গত সংসদ নির্বাচনে যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি, তাদের ওপর আস্থা রেখেছে কেন্দ্র।

রবিবারের সম্মেলনে সভাপতি করা হয়েছে সাবেক এমপি মেরাজ উদ্দিন মোল্লাকে। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাবেক এমপি কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা। এ ছাড়া যুগ্ম-সম্পাদক হয়েছেন রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু।

দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে এই চারজনকে মনোনীত করা হয় বলে কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন। সদ্য বিদায় নেওয়া সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের কোন্দলই তাদের কপাল পুড়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী  লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে। এই রাজশাহীতে জেলা আওয়ামী লীগের কোনো ভাইয়ের রাজনীতি চলবে না। এখানে একটাই রাজনীতি চলবে তা শেখ হাসিনার।’ আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন ডাবরু বলেন, সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্বের কারণে এমন সিদ্ধান্ত। গত ১৩ অক্টোবর রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় রাজশাহী জেলা কমিটি থেকে সভাপতি-সম্পাদকসহ কাউকেই বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। শেষে গত ৮ নভেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে রাজশাহী জেলা কমিটির সম্মেলনের দিন নির্ধারণ করা হয়।

তবে সদ্য বিদায়ী সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী দাবি করেছেন, অন্যদের সুযোগ দিতে তিনি প্রার্থী হননি। যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা দলকে সংগঠিত করতে কাজ করবেন। তিনি তাদের পাশে আছেন। আর সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আমার পক্ষেই ছিল, এখনো আছে। কিন্তু কয়েকজন এমপি মিলে জোটবদ্ধ হয়ে আমাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিল।’

 

সর্বশেষ খবর