মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
উগ্রবাদবিরোধী সম্মেলন শুরু

সন্ত্রাসী অর্থায়ন বন্ধের আহ্বান স্পিকারের

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গতকাল শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী উগ্রবাদবিরোধী জাতীয় সম্মেলন-২০১৯। সিটিটিসি, ইউএসএইড ও জাতিসংঘের যৌথ আয়োজনে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। উগ্রবাদ দূর করতে হলে সর্বপ্রথম দারিদ্র্য দূর করতে হবে। পাশাপাশি উগ্রবাদ দমনে সন্ত্রাসী অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, উগ্রবাদী হয়ে কেউ জন্ম নেয় না। পরিস্থিতি তাদের বিপথগামী করে তোলে। উগ্রবাদ একটা বৈশ্বিক সমস্যা; যা সভ্যতা ও মানবতার শত্রু। প্রথমবারের মতো এ সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, দেশে সমন্বয়ের মাধ্যমে উগ্রবাদবিরোধী কাজ করার প্ল্যাটফরম তৈরি হয়নি। এ সম্মেলনের মাধ্যমে তা শুরু হলো। আলোচনার মাধ্যমে উগ্রবাদ দমন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

 তাই আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে পুনর্বাসন কার্যক্রম চালিয়ে বিপথগামীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে।

জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেফো বলেন, উগ্রবাদ শুধু বাংলাদেশের নয়, পুরো বিশ্বের জন্য হুমকি। উগ্রবাদ নির্মূলে নারীরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন, আন্তর্জাতিক সহায়তা ছাড়া উগ্রবাদ দমন সম্ভব না। তিন বছর আগে উগ্রবাদ এ দেশে মাথাচাড়া দিয়েছিল। পরে সবার সম্মিলিত চেষ্টায় সেই পরিস্থিতির উত্তরণ হয়েছে। তবে উগ্রবাদবিরোধী এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেন, ইউএস সরকার উগ্রবাদ প্রতিরোধে ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। উগ্রবাদ দমনে ইতিমধ্যে ৩৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রস্তুত।

দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের প্রথম দিনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ও বর্তমান প্রেক্ষাপট বিষয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন পরিবেশন করে সিটিটিসি। এ ছাড়া ইউএসএইড, জাতিসংঘ ও এসভিসির পক্ষ থেকেও জঙ্গিবাদের বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

 

সর্বশেষ খবর