মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নাগরিক সুবিধা নিয়ে ক্ষোভ এলাকাবাসীর

শামীম আহমেদ

নাগরিক সুবিধা নিয়ে ক্ষোভ এলাকাবাসীর

আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নবগঠিত ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে। ৯ মাস আগে নির্বাচন হওয়া ওয়ার্ডটিতে ফের নির্বাচনে অংশ নেবেন এমন অন্তত সাতজনের নাম জানা গেছে। ওয়ার্ডের অবস্থান : পুকুরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, তালতলা, উত্তরপাড়া (পূর্বাংশ ও পশ্চিমাংশ) পাঁচখোলা, মেরুলখোলা, মগারদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম পদরদিয়া নিয়ে নতুন এ ওয়ার্ড গঠিত। মোট ভোটার প্রায় ১৪ হাজার। আসন্ন কাউন্সিলর নির্বাচনে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন- বর্তমান কাউন্সিলর ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. সফিকুল ইসলাম, বিলুপ্ত সাঁতারকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ডা. আবদুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক হাজি আবদুল্লাহ খান, আওয়ামী লীগ নেতা জোনায়েদ আহমেদ ও সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক মোতালেব দেওয়ান। তবে এখনো কেউ নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেননি। এ ছাড়া বিএনপি থেকে বিলুপ্ত সাঁতারকুল ইউনিয়ন সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা হাজি নবী হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তবে গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের বিষয় না থাকায় আওয়ামী লীগ থেকে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এবার তারা তাকিয়ে আছেন দলের হাইকমা-ের দিকে। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাকেই সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এদিকে সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আড়াই বছর পার হলেও এলাকায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধার ছোঁয়া না লাগায় স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তারা বলছেন, স্কুল-কলেজ, সরকারি হাসপাতাল, আধুনিক বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা, খেলার মাঠ, পার্ক প্রতিষ্ঠার মতো নাগরিক সুবিধা নেই। এগুলো প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রার্থীরা গত নির্বাচনে অংশ নিলেও তা পূরণ হয়নি। এখানকার রাস্তা-ঘাট যা হয়েছে তা ইউনিয়ন পরিষদ থাকতেই। সিটি করপোরেশন হওয়ার পরে নতুন করে কোনো উন্নয়ন হয়নি। সরেজমিন দেখা গেছে, সাঁতারকুলের সংযোগ সড়কগুলো সরু এবং বেশিরভাগই কাঁচা। বাজারের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীতে। স্থানীয়রা জানান, তবে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বর্তমান কাউন্সিলর সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বছর না ঘুরতেই ফের নির্বাচন আমাদের সঙ্গে প্রহসন ছাড়া কিছু নয়। নির্বাচিত হওয়ার পর বরাদ্দ তো দূরের কথা, আমাকে চেয়ার-টেবিল বা সচিবও দেওয়া হয়নি। মানুষকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আমার সরকার কী করতে পারে তা গর্ব করে বলেছি। ৯ মাসের মাথায় ফের কোন মুখ নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিতে যাব? আওয়ামী লীগ নেতা ডা. আবদুল মতিন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন বরাদ্দের শতভাগ ব্যবহার করেছি। রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন করেছি। যা পারিনি সেটা ওয়ার্ড কাউন্সিলর হয়ে করতে চাই। মোতালেব দেওয়ান বলেন, নিজের জমি বিক্রি করে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে। তবে দল যাকে সমর্থন দেবে আমিও তাকে সমর্থন দেব। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী নবী হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর সমর্থন আছে। দল চাইলে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই।

সর্বশেষ খবর