বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জরুরি সেবা না পেয়ে মারা গেলেন চিকিৎসক!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

মুমূর্ষু রোগীদের জীবন রক্ষায় ১০টি ভেন্টিলেটর (কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখা) মেশিনসহ বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বা ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) চালু হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৩ জুলাই। গত দুই বছরে ৯টি মেশিনই অকেজো হয়ে যায়। সর্বশেষ চালু থাকা একমাত্র ভেন্টিলেটর মেশিনটি বিকল হয়ে যায় গত মঙ্গলবার। এতে ওই দিনই বিনা চিকিৎসায় অকালে ঝরে পড়েছেন শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের ৪১তম ব্যাচের ছাত্র ডা. মারুফ হোসেন নয়ন (৩০)। ডা. নয়নকে মুমূর্ষু অবস্থায় জরুরি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে না পারায় খোদ এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 তবে মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ না পাওয়ায় নতুন ভেন্টিলেটর মেশিন সংগ্রহ কিংবা পুরনো অকেজো মেশিনগুলো সচল করা যায়নি বলে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন। আইসিইউ ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবক ও সেবিকারা বলেন, গত ২ অক্টোবর আইসিইউ ওয়ার্ডে নতুন নার্সিং ইনচার্জ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই সময় তিনি ১০টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে দুটি সচল অবস্থায় পান। কয়েক দিনের মধ্যে আরও একটি মেশিন বিকল হয়ে যায়। অবশিষ্ট থাকা একমাত্র ভেন্টিলেটর দিয়ে গত দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে সেবা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু শেষ সম্বল একমাত্র ভেন্টিলেটরটিও হঠাৎ মঙ্গলবার বিকল হয়ে যায়। ওইদিন এ মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্র ডা. নয়ন অসুস্থ হয়ে পড়লে কৃত্রিমভাবে তার শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখতে গিয়ে একমাত্র ভেন্টিলেটর মেশিনটি অকেজো অবস্থায় পান চিকিৎসকরা। এ কারণে তাকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা।

আইসিইউর দায়িত্বে থাকা সহকারী অধ্যাপক ডা. নাজমুল হুদা বলেন, প্রয়োজনীয় সেবা দিতে না পারায় ডা. নয়নের মৃত্যু হয়। ডা. নয়ন বরিশাল ডায়াবেটিক হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তিনি ভোলা শহরের মোশারফ হোসেনের একমাত্র ছেলে।

শেরেবাংলা মেডিকেলের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, আইসিইউর ভেন্টিলেটর মেশিন অকেজো হওয়ার বিষয়টি একাধিকবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতরে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর