শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাসযোগ্য ওয়ার্ড গড়তে চান প্রার্থীরা

মোস্তফা কাজল

বাসযোগ্য ওয়ার্ড গড়তে চান প্রার্থীরা

নিরাপদ ও বাসযোগ্য ওয়ার্ড গড়তে চান ঢাকা উত্তর সিটি কাপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৪নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এ ওয়ার্ডের অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও অবৈধ দখলের কারণে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো একেবারেই সরু। দিনভর যানজট লেগেই থাকে। সামান্য বৃষ্টিতে পানিবন্দী হয়ে পড়েন এ এলাকার কয়েক লাখ বাসিন্দা। সৃষ্টি হয় দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা। এই ওয়ার্ডকে শতভাগ বসবাসের উপযোগী করে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ডিএনসিসির ১৪নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহসভাপতি হুমায়ুন রশীদ জনি, কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. রেজাউল হক ভূঁইয়া বাহার, ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মইজ উদ্দিন ও কাফরুল থানা যুবদলের সভাপতি শরিফুল ইসলাম মিলন। ডিএনসিসির ১৪নং ওয়ার্ড রোকেয়া সরণির পূর্ব ও পশ্চিম পাশ, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও সেনপাড়া পর্বতার অংশ নিয়ে গঠিত। ঢাকা-১৫ আসনের অন্তর্ভুক্ত এ ওয়ার্ডে জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ হলেও ভোটার সোয়া লাখ। পশ্চিম শেওড়াপাড়া থেকে পীরেরবাগ হয়ে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর পর্যন্ত অসংখ্য অবৈধ পানির সংযোগ রয়েছে। এই ওয়ার্ডের বেশিরভাগ সড়ক ও ফুটপাথ দখল করে বসানো হয়েছে বিভিন্ন দোকানপাট। উচ্ছেদের পর আবারও দখল হয়েছে শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর-১০ নম্বরের সড়ক ও ফুটপাথ। সংস্কার হওয়া কিছু সড়কের ম্যানহোল দেবে গিয়ে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে এই ওয়ার্ড। এ নিয়ে স্থানীয়রা শঙ্কিত। খেলার মাঠ, বিনোদন পার্ক, কমিউনিটি সেন্টার, পাবলিক টয়লেট না থাকায় নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত এলাকার বাসিন্দারা। বর্তমান কাউন্সিলর হুমায়ুন রশীদ জনি বলেন, ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছি। এ এলাকার বেশিরভাগ সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। কিছু সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। ৬-৭ ফুটের সড়ক ১০-১২ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত করা হয়েছে। কয়েক দিন পরপর ফুটপাথ অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। পানির সমস্যা সমাধানে নতুন পাম্প বসানো হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. রেজাউল হক ভূঁইয়া বাহার বলেন, নির্বাচিত হলে পরিকল্পিত ওয়ার্ড গড়ে তুলব। যানজট নিরসন, মাদক নির্মূল, অবৈধ দখল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ অন্যান্য নাগরিক চাহিদা পূরণ করব। ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মইজ উদ্দিন বলেন, নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা নিরসন, সড়ক সংস্কার, মাদক নির্মূল, ও দখলমুক্ত ওয়ার্ড উপহার দেব। মাদক নির্মূল করে অন্যান্য সমস্যার সমাধান করব। কাফরুল থানা যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিএনপির রাজনীতি করছি। আশা করি, এবার দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা নিরসন, সড়ক ও ফুটপাথ পরোপুরি দখলমুক্ত করব। কঠোর হাতে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি দূর করে একটি আদর্শ ওয়ার্ড উপহার দেব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর