মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড গড়ার অঙ্গীকার

আরাফাত মুন্না

পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড গড়ার অঙ্গীকার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২৯ নম্বর ওয়ার্ড। চকবাজার থানাধীন এ ওয়ার্ডের অধিকাংশ রাস্তায় রয়েছে খোলা ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সরু ড্রেনে জমে আছে ময়লা-আবর্জনা। সেখানে মাছি-মশাসহ ক্ষতিকর পোকামাকড় জন্মাচ্ছে। আগামী সিটি নির্বাচনে এ ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা দূষণমুক্ত পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ড্রেনেজ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করে বর্ষার জলাবদ্ধতা নিরসন করতে চান তারা। ওয়ার্ডটি ডিএসসিসির অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন। এ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার হলেও তিন লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। ঘিঞ্জি ঘনবসতিপূর্ণ ওয়ার্ডটির ছোটো সরু গলিতে অসংখ্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এটি সংসদীয় ঢাকা-৭ আসন অন্তর্ভুক্ত এলাকা। এর আয়তন ৫ বর্গকিলোমিটার। ইসলামবাগ, পোস্তা, হাজী বাল্লু রোড, কামালবাগ, চুড়িহাট্টা ও চকবাজারের অংশবিশেষসহ ১৫টি পাড়া-মহল্লা রয়েছে এ ওয়ার্ডে। সরেজমিন দেখা গেছে, এখানকার গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়ক পোস্তা, ইসলামবাগ, হাজী বাল্লু রোডসহ সর্বত্রই তীব্র যানজট লেগে থাকে। এখানে স্যুয়ারেজ ব্যবস্থাহীন অপরিকল্পিত ও অপ্রশস্ত রাস্তা। সরু রাস্তায় রিকশা, ঠেলাগাড়ি ও মিনি ট্রাক দাঁড়িয়ে মালামাল লোড-আনলোড করায় সড়কে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা লেগেই থাকে। ওয়ার্ডে ব্যায়ামাগার ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র না থাকায় সমস্যায় রয়েছেন বাসিন্দারা। কয়েক বছর ধরে পাঠাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া অভ্যন্তরীণ এলাকার সর্বত্রই নোংরা পরিবেশ ও ধুলাবালি বেশি থাকায় মশা-মাছির উপদ্রব বেশি। এ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা হচ্ছেন- বর্তমান কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বাবুল, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম রাডো, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, চকবাজার থানা যুবলীগ সভাপতি শেখ মো. জাহিদ হোসেন। বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম বাবুল, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাসেল। বর্তমান কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বাবুল বলেন, আমি কাউন্সিলরের দায়িত্ব পাওয়ার পর এলাকার উন্নয়নে অনেক কাজ করেছি। আগামী দিনে দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। নির্বাচিত হলে আমি এলাকাটিকে একটি মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলব।  এ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ থেকে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী শেখ মো. জাহিদ হোসেন বলেন, যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয় এবং আমি নির্বাচিত হই, তাহলে মাদক, সন্ত্রাস দূর করার পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড গড়তেও কাজ করব। তরুণ ও বয়স্কদের জন্য পৃথক বিনোদনের ব্যবস্থা করারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী শফিকুল ইসলাম রাসেল বলেন, এলাকার প্রধান সমস্যা মাদকের বিস্তার। আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে সবার আগে মাদক নিয়ন্ত্রণ করে যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় কাজ করব। এলাকার অন্য সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করে তার মধ্যে ইন্ডোর গেম, ব্যায়ামাগার নির্মাণের ইচ্ছা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর