চট্টগ্রাম নগরের খাল, নালা-নর্দমা, সড়ক, সড়কের নাম, খাল এবং ভবনগুলোর আয়তন, দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ও উচ্চতা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। ফলে প্রকল্প গ্রহণ, ভবনের কর নির্ধারণ, খাল-নালা-নর্দমা ভরাট ও বেদখল নিয়ে খবর থাকে না । এ জাতীয় বাধা নিরসনে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ডিজিটাল ম্যাপ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন (চসিক)। এ নিয়ে ‘জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম’ (জিআইএস) শীর্ষক কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই চসিক-আইডব্লিউএমের মধ্যে চুক্তি হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নিমিষেই মিলবে নগরীর ভৌগোলিক সব তথ্য-উপাত্ত।
মঙ্গলবার চসিকের ৫৩তম সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি জানান, ৪১টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিকে আলাদা এবং একটি কেন্দ্রীয়ভাবে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমের আওতায় আনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১২ কোটি টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হয়েছে আড়াই বছর। এর মাধ্যমে একটি নগরীর সব তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদান নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে জিআইএস পদ্ধতি একটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতা অনেকাংশে বাড়বে। বিশেষ করে করপোরেশনের আয় বৃদ্ধিতে জিআইএস পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।