বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভারতে তথ্য পাচারের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেফতার

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

ভারতে তথ্য পাচারের অভিযোগে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের সাবেক এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে মঙ্গলবার ঢাকার কর্মস্থল থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আটক পুলিশ দেবপ্রসাদ সাহা খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার সুরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে। বিচারক সাইফুদ্দিন হুসাইন ১৯ ডিসেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। গ্রেফতার ও রিমান্ড আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান। আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি দেবপ্রসাদ সাহা ঢাকার উত্তরা ১ নম্বর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কনস্টেবল। ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার বিপি নম্বর ৭৫৯৮০৫১১৯৮ ও কনস্টেবল নম্বর ৭০৩।

বেনাপোল চেকপোস্টে কর্মরত থাকা অবস্থায় ভারতের অনেকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। এ কারণে যখন-তখন নো ম্যানস ল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া-আসা করতেন পুলিশ সদস্য দেবপ্রসাদ সাহা। ইমিগ্রেশনে দায়িত্ব পালনকালে সেনাবাহিনীর অফিস সহকারী আবু হানজালা রানা ও সৈনিক শাহনেওয়াজ শাহিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই দুজন বেনাপোলে এসে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামের দুই ব্যক্তির কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে দেবপ্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-সংবলিত একটি পেনড্রাইভ নো ম্যানস ল্যান্ড পার হয়ে ভারতে পাচার করেন। এর ১৫ দিন পর আবু হানজালা রানার কাছ থেকে এনে আবারও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-সংবলিত পেনড্রাইভ ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন দেবপ্রসাদ সাহা।

২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের একটি হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র‌্যাবের হাতে সৈনিক শাহানেওয়াজ শাহিন আটক হন। এ সময় তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-সংবলিত একটি পেনড্রাইভ এবং ভারতে তথ্য পাচারের বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করে ডিজিএফআই।

পরে বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টারস তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে অনুসন্ধানে নামে। তদন্তে তাদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট থেকে এবং ভারতের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আরেফের সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিও সিডির মাধ্যমে ভারতে বাংলাদেশের তথ্য পাচারের বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর