বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইবিতে ২০ পেলেই ভর্তি

কোটার জন্য এত ছাড়!

আহসান নাঈম, ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ২য় ধাপে কোটায় ভর্তির শর্ত শিথিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে সব কোটায় ৮০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ২০ নম্বর পেলে ভর্তির সুযোগ পাবে কোটায় ভর্তিচ্ছুরা। গতকাল বিশ^বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে শর্ত শিথিলের এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে প্রথম ধাপে কোটায় ভর্তির শর্ত শিথিল করে মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য কোটায় ৩২ ও পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটায় ২৬ নম্বর নির্ধারিত ছিল। তবে এখন সব কোটায় ২০ নম্বর পেলেই ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার উপাচার্যের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় ২য় ধাপে শর্ত শিথিলের এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শর্ত শিথিলের পর নতুন করে সুযোগ প্রাপ্তদের আবেদনের তারিখ বিশ^বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শর্ত কমানোর ফলে পোষ্য কোটায় অসংখ্য শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। এ ছাড়াও মোট আসনের পাঁচ শতাংশ (১১৫ জন) মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য বরাদ্দ।

প্রতিবন্ধী কোটায় ২০ জন, উপজাতি কোটায় ১৫ জন, হরিজন সম্প্রদায় ৫ জন, খেলোয়াড় কোটায় ১০ জন। এসব কোটায় সর্বমোট ভর্তি হবে ১৬৫ জন শিক্ষার্থী। এদিকে কোটায় পাস নম্বর এত কমানোর পেছনে পোষ্য কোটাকেই দায়ী করছেন সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। প্রতি বছর বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর অসংখ্য সন্তান ভর্তি হয় এই কোটায়। বিগত বছরগুলোতেও প্রভাবশালী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চাপে এই কোটার শর্ত শিথিল করে আসছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নুরুন্নবী সবুজ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ কোটা বা প্রতিবন্ধী কোটায় শর্ত শিথিল গ্রহণযোগ্য। তবে পোষ্য কোটায় মাত্র ২০ নম্বরে ভর্তি কোনোভাবেই যোগ্যতার মাপকাঠি হতে পারে না।’

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ বলেন, ‘ইতিপূর্বে কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিটি কোটায় আলাদা শর্ত বিদ্যমান ছিল। যেটি এক প্রকার বৈষম্য। তাই এসব বৈষম্য দূরীকরণ ও বিভিন্ন বিভাগের শর্ত শিথিলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সব কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে সমতা আনা হয়েছে। সব কোটায় একজন শিক্ষার্থী ২০ নম্বর পেলেই ভর্তির আবেদন করতে পারবে।’

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর