বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে পোশাকখাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেছেন, বিদেশিদের পরামর্শে কতভাবে পোশাক খাতে টাকা খরচ করেছি, তা বলে শেষ করতে পারব না। আমরা বলতে চাই, বিদেশিদের পরামর্শে পোশাক খাতে আর সংস্কার করব না। এটা একেবারে স্পষ্ট। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা সচিব নূরুল আমিন, পরিকল্পনা কমিশনের খলিলুর রহমান খান প্রমুখ।

রুবানা হক বলেন, উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের সংগঠন (অ্যালায়েন্স) ও ইউরোপিয়ান ক্রেতাদের সংগঠন (অ্যাকোর্ড) বাংলাদেশের পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেছে। তাদের সঙ্গে আটটি বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি বিষয়ে তাদের রাজি করানো সম্ভব হয়েছে। আরও কিছু বিষয় আছে, সেগুলোর বিষয়ে রাজি করাতে হলে আবার বিদেশিদের ভাড়া করতে হবে। এভাবে পোশাক খাত চলতে পারে না।

তিনি বলেন, দীর্ঘ সময়েও আমরা বিল্ডিং কোড নীতিমালা-২০১৯ অনুমোদন করাতে পারিনি। এই সুযোগে বিদেশিরা এসে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছে। যা বাধ্য হয়েই মেনে নিতে হচ্ছে। রানা প্লাজা ধসের পর দেড় বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছি, শুধু অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম কেনার কাজে। কিন্তু এটা আমাদের পরিবেশের সঙ্গে যাচ্ছে কিনা কেউ কথা বলল না।

রুবানা হক বলেন, পোশাক খাতে গত পাঁচ মাসে ছয় ভাগের বেশি নেগেটিভ গ্রোথ হয়েছে। স্পষ্টভাবে বলা যায়, পোশাক খাত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এসব কাজে সরকারকে দোষ দেওয়া সহজ। কিন্তু আমরা নিজেরা কতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছি তাও দেখতে হবে। প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে। শুধু গার্মেন্ট শিল্পকে প্রাধান্য দিলে হবে না। অন্যান্য শিল্পকে গুরুত্ব দিতে হবে। সব শিল্পকে সমানভাবে গুরুত্ব দিলেই পোশাক খাত এগিয়ে যাবে।

পোশাক রপ্তানি থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা অর্জন সম্ভব কি না- তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন রুবানা হক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর