শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মশা মারার যুদ্ধ শুধুই আনুষ্ঠানিকতায়

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মশক নিধনে যুদ্ধ ঘোষণা করে। গত ১৫ জুলাই থেকে ১৬ অক্টোবর- তিন মাসের মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করে। ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ‘এডিস মশা নিধন ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে মহানগর ও বিভাগীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা গ্রহণ’ সম্পর্কিত সভায় মশার বিরুদ্ধে এ যুদ্ধ ঘোষণা করেন চসিক মেয়র। পরদিন জামালখানে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ নামে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ওষুধ ছিটানো। ১৬ অক্টোবর ডিসি হিল এলাকায় ফের মশক নিধন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। প্রতিটি কর্মসূচি ফলাও করে প্রচার করা হয়। প্রতিটি কর্মসূচিতেই স্প্রেম্যানদের ফগার মেশিন নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যায়। কিন্তু অনুষ্ঠানের পর তাদের আর দেখা মেলে না। থমকে যায় মশক নিধন যুদ্ধ। আনুষ্ঠানিকতানির্ভর হয়ে পড়ে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম। চসিক বছরজুড়ে ক্র্যাশ প্রোগ্রামের কথা বললেও তার বাস্তবায়ন নেই। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাও আছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শঙ্কা, শীতেও মশা ডিম পাড়ে। পক্ষান্তরে কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, সাধারণত শুষ্ক মৌসুম নভেম্বর-এপ্রিল পর্যন্ত মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এ সময় নালা-নর্দমায় জমে থাকা পানিতে ডিম ছাড়ে জীবাণুবাহী মশা। নগরবাসীর অভিযোগ, চসিক বছরজুড়ে মশার ওষুধ ছিটানোর কথা বললেও তা করে না। ডেঙ্গুর মৌসুমে মাঝে মাঝে দেখা গেলেও পরে আর চোখে পড়েনি।

 এ নিয়ে চসিকের আরও অনেক বেশি কঠোর হওয়ার উচিত।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুযত পাল বলেন, ‘শীত মৌসুম হওয়ায় ডেঙ্গুর বিস্তার কমে যাবে- এমনটি ভাবা সঠিক হবে না। এবার দীর্ঘ সময় ধরে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা গেছে।

চসিকের উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে মশার উপদ্রব বাড়ার কারণে আগের চেয়ে বেশি করে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। শুক্রবার নতুন উদ্যমে শুরু হবে। এ লক্ষ্যে পুরনো ৭০টির সঙ্গে নতুন ৪০টি ফগার মেশিন যোগ হয়েছে। প্রতি ওয়ার্ডের জন্য ২০০ লিটার করে মশক নিধন তেল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও দেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর