শিরোনাম
শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ডাকাতসহ দুজন নিহত

প্রতিদিন ডেস্ক

কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ডাকাতসহ দুজন নিহত

কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল করিম ও ১৭ মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন নিহত হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু অস্ত্রও উদ্ধারের কথা জানায়। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য।

টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে টেকনাফের হ্নীলা দমদমিয়ায় র‌্যাবের সঙ্গে গুলি বিনিময়কালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল করিম (৩৮) নিহত হয়েছেন। তিনি হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যা¤ন্ডেপর ডি ব্লকের আবদুস সালামের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাব-১৫-এর টেকনাফ ইনচার্জ লে. কমান্ডার মির্জা শাহেদ মাহতাব জানান, গোপনে তথ্য পেয়ে র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল এলাকায় হ্নীলা দমদমিয়ায় অভিযানে গেলে ডাকাত দলের সদস্যরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবের পক্ষে থেকে   পাল্টা গুলি ছোড়া হয়। উভয় পক্ষের গুলি বিনিময়কালে রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল করিম (৩৮) গুলিবিদ্ধ হয়। চকরিয়া প্রতিনিধি জানান, আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে ডাকাত দলের অভ্যন্তরীণ বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন উপকূলের ত্রাস ১৭ মামলার পলাতক আসামি আনোয়ার হোসেন (৪২)। উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর কালাইয়াগোদা পাহাড়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাত ২টায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আনোয়ার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের লাল মোহাম্মদ পাড়া ঘিলাতলীর মুজিবউল্লাহ প্রকাশ কিনাইয়ার ছেলে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গোলাগুলির শব্দ পেয়ে লোকজন কালাইয়াগোদা পাহাড়ে গিয়ে আহতাবস্থায় একজনকে দেখতে পায়। তাদের তথ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত আনোয়ারকে চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আনোয়ারকে উদ্ধারের সময় একটি এলএমজি, তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ও ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা পায় পুলিশ। এ ঘটনায় থানার এসআই কামরুল হাসান অজ্ঞাত ১৬-১৭ জনসহ নিহত আনোয়ারকে প্রধান আসামি করে হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। নিহত আনোয়ারের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতিসহ ১৭টি মামলা হয়। এর মধ্যে তিনবার পুলিশকে পিটিয়ে পালানোর ঘটনা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর