শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মেঘনা সিমেন্টের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তা বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড। গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) গুলনকশা হলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।

সভায় স্বাগত ও সভাপতির বক্তব্য দেন কোম্পানির উপদেষ্টা এ আর রশিদী। এতে উপস্থিত ছিলেন নিরপেক্ষ    পরিচালক খাজা আহমেদুর রহমান, পরিচালকম-লী, উপদেষ্টা ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ময়নাল হোসেন চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) মাহবুব হায়দার খান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব-উজ-জামান, কোম্পানি সচিব এম নাসিমুল হাইসহ কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা। এ আর রশিদী বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন সিমেন্ট বিক্রি করেছে মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড। আগের বছর এ বিক্রি ছিল ৯ লাখ ১৩ হাজার মেট্রিক টন। ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে। বিক্রি থেকে নিট আয় ৭৭০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে এটা ছিল ৫৫৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। বিক্রয়লব্ধ নিট আয় বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, কাঁচামাল আমদানি ও সরবরাহ পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর, বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি সিমেন্ট শিল্পকে বেকায়দায় ফেলেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের ৯০ শতাংশ কোম্পানিকে সিমেন্ট উৎপাদনের কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ায় এর প্রভাব দেশের বাজারে প্রত্যক্ষভাবে পড়ছে। এতে সিমেন্টের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর পরও কোম্পানির পরিচালনা ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা, অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় যাবতীয় প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কোম্পানির নিট মুনাফা আগের বছরের তুলনায় দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সিমেন্টের চাহিদা বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাগেরহাটের মোংলায় নতুন প্রকল্প স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ওই কারখানায় উৎপাদন শুরু হলে বছরে ২০ লাখ মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করবে মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড। এতে উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে মুনাফাও বাড়বে।

সভায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদন, নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাববিবরণী প্রকাশ ও প্রতিবেদন অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ অনুমোদন দেওয়া হয়। বার্ষিক সাধারণ সভায় ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শেয়ারহোল্ডাররা উপস্থিত হন। এদের মধ্যে মাহবুব আলমগীর, সাইফুল ইসলাম, রিয়াজুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন, আবুল কামাল আজাদসহ অনেকেই বক্তব্য দেন। তারা নানা প্রতিকূলতা ও শেয়ারবাজারের ক্রান্তিকালের মধ্যেও আলোচ্য বছরে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণাকে কোম্পানির সাফল্যের ইতিবাচক প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে আগামীতে পণ্যটির প্রচার আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান।

সর্বশেষ খবর