শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিল না দিয়েও বিদ্যুৎ সুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিল না দিয়েও বিদ্যুৎ সুবিধা

দীর্ঘদিন বিল না দিয়েও ৪২০ জন গ্রাহক পাচ্ছেন বিদ্যুৎ।  বিচ্ছিন্ন করা হয়নি সংযোগ। বকেয়া সত্ত্বেও বিদ্যুৎ দেওয়ায় গ্রাহকের কাছে পাওনা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৪ টাকা। আবার প্রকৃত গ্রাহক খুঁজে না পাওয়ায় গত এক বছরে বকেয়া পড়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। বকেয়া বিল আদায়ে এসব অনিয়মে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে এ জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরবর্তী বৈঠকে নিখোঁজ গ্রাহকের সংখ্যাসহ এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।  সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ ক্ষোভ জানান কমিটির সদস্যরা।

আসছে সাত সাইবার ট্রাইব্যুনাল : সাইবার অপরাধ দমনে গঠিত হচ্ছে সাতটি ট্রাইব্যুনাল। সাইবার অপরাধীদের দ্রুত বিচার করে শাস্তি দেওয়ার জন্য এসব সাইবার ট্রাইব্যুনাল সৃজনের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে সংসদীয় কমিটিকে। এ ছাড়া সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ‘বিডি লিগ্যাল এইড’Ñএপস তৈরি করা হয়েছে, যা গুগল প্লে স্টোর থেকে ফ্রি ডাউনলোড করা যাচ্ছে। সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সপ্তম বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।

জমির মূল্য নির্ধারণে স্থানীয় প্রশাসন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ : বাংলাদেশ বেতারে কর্মরত ১৮৮ জন কর্মকর্তা (বিসিএস তথ্য) পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে ‘সুপারনিউমারারি পদ’ সৃজনের মাধ্যমে তাদের পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি সরকারিভাবে জমি বেচাকেনার মূল্য নির্ধারণ ও জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কমিটিতে স্থানীয় (জেলা/ উপজেলা) প্রশাসন থেকে একজন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া কমিটি প্রশাসনের মাঠপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর শূন্য পদে দ্রুত পদায়নের সুপারিশ করে। বৈঠকে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের সঙ্গে বিসিএস (ইকোনমিক) ক্যাডার একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার অগ্রগতির বিষয়ে কমিটিকে জানানো হয়। সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চতুর্থ বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।

 বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, হাফিজ আহমদ মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, দীপংকর তালুকদার, পনির উদ্দিন আহমেদ, বেগম ফেরদৌসী ইসলাম ও  মোকাব্বির খান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নুরুল করিম কমিটিকে জানান, বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারভুক্ত বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তারা নবম গ্রেড হতে ষষ্ঠ  গ্রেডে পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করলেও প্রকৃত শূন্য পদ না থাকায় তারা পদোন্নতি বঞ্চিত হচ্ছেন। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল কমিটিকে জানান, বাংলাদেশ বেতারে নবম গ্রেডে ৭৫ জন, ষষ্ঠ গ্রেডে ৯৬ জন, পঞ্চম গ্রেডে ১০ জন এবং চতুর্থ গ্রেডে ৭ জনসহ মোট ১৮৮ জন কর্মকর্তা (বিসিএস তথ্য) পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করলেও প্রকৃত শূন্য পদ না থাকায় তাদের পদোন্নতি  দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় কমিটির সভাপতি বলেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি না পাওয়া অমানবিক ও বৈষম্যমূলক। এজন্য তাদেরকে সুপারনিউমারারি অর্থাৎ অস্থায়ীভাবে পদ সৃষ্টির মাধ্যমে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়। 

সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে উপসচিব পর্যায়ের বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের ইংরেজি প্রশিক্ষণের বিষয়ে কমিটিকে অবহিত করা হয়। কমিটি জাতীয় দিবসগুলোতে জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন বলে সুপারিশ করে। বৈঠকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

সর্বশেষ খবর