শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা

বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজাকারসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্তির ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। গতকাল বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির এ দাবি জানান। তিনি বলেন, রাজাকারের তালিকায় কোনো মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ পরিবারের কারও নাম যুক্ত হওয়া শুধু ভুল নয়- গুরুতর অপরাধ। অমার্জনীয় এ অপরাধের জন্য কারা দায়ী তা তদন্ত করার জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল উপস্থিত ছিলেন। শাহরিয়ার কবির বলেন, রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকায় অজ্ঞতাবশত কোনো স্বাধীনতাবিরোধীর নাম বাদ পড়তেই পারে। কিন্তু কোনো মুক্তিযোদ্ধা বা তার পরিবারের স্বাধীনতার পক্ষের কোনো সদস্যের নাম যুক্ত করাটা অমার্জনীয় অপরাধ। ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ৭৮৯ জন ‘স্বাধীনতাবিরোধীর’ যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকের নাম রয়েছে। বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী তপন কুমার চক্রবর্তী ও রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর নামও রাজাকারের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তালিকা তৈরির পেছনে কাদের হাত রয়েছে- তা খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের রাজাকারের তালিকায় নাম আসায় ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে প্রকাশের তিন দিনের মাথায় ওই তালিকা স্থগিত করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে ওই তালিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

সর্বশেষ খবর