সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

অবৈধ রিকশা নিয়ন্ত্রণই চ্যালেঞ্জ

মাহবুব মমতাজী

অবৈধ রিকশা নিয়ন্ত্রণই চ্যালেঞ্জ

গুলশান-বনানী-বারিধারা-নিকেতন এলাকার বিশেষ বাসসেবা চালুর পাশাপাশি হলুদ রঙের রিকশা নামানো হয়েছিল প্রায় তিন বছর আগে। চারটি সোসাইটির পক্ষ থেকে নামানো রিকশাগুলোতে দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়ার তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তবে রিকশাগুলো শুরু থেকেই নির্ধারিত ভাড়া থেকে বেশি নিয়ে আসছে। সেই সঙ্গে চলছে অবৈধ রিকশাও। এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৯ ওয়ার্ডের। তবে আসন্ন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ওয়ার্ডের সম্ভাব্য প্রার্থীরা অবৈধ রিকশার পাশাপাশি মাদক, মশা, বস্তিকেন্দ্রিক গ্যাস-বিদ্যুৎ চুরি ঠেকানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন। একই সঙ্গে গুলশান-বনানীকে সব নাগরিকের বাসযোগ্য করে তুলতে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন, বর্তমান কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, সাবেক কমিশনার ও জাতীয় পার্টির সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন (মঞ্জু), বিএনপি থেকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড সেক্রেটারি রেজাউল করিম রাজা এবং বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. মাসুদ।

রাজধানীর অন্যতম অভিজাত এলাকা বনানী, গুলশান ১ ও ২, গুলশান সুইপার কলোনি (১), কড়াইল বস্তি ও বেলতলা নিয়ে প্রায় ৫.১৮৬ বর্গকিলোমিটারের এ ওয়ার্ডটিতে ৫ লাখ মানুষের বসবাস। ভোটার প্রায় ৭৬ হাজার। শুধু কড়াইল বস্তিতেই আছে ২৬ হাজারের মতো ভোটার। গুলশান-বনানী ঘুরে জানা যায়, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান-বনানী-বারিধারা-নিকেতন এলাকায় গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসব এলাকায় সোসাইটিগুলো মিলে বিশেষ বাসের পাশাপাশি নতুন ৮০০ রিকশা নামায়। গুলশানের জন্য ৪০০ এবং বনানীর জন্য ৪০০। সোসাইটিগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব এলাকায় বিশেষ রিকশা ছাড়া অন্য রিকশা ঢুকতে পারবে না। সোসাইটিগুলোতে নিবন্ধিত ৮০০ রিকশার বাইরেও অবৈধ অনেক রিকশা চলাচল করে বলে অভিযোগ আছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এবং রিকশাগুলো সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, গুলশান-বনানীর জীবনমান উন্নয়নে লেক সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। লেক সংস্কার হলে এই এলাকার সঙ্গে হাতিরঝিলের সংযোগ হবে। পাশে ওয়াক ওয়ে থাকবে এবং লেকে বোট চলবে। এ কাজ হলে গুলশান-বনানী একটি দ্বীপের মতো হবে। এখানকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণেও আমার জোড়ালো ভূমিকা ছিল। কথা হয় সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ মঞ্জুর হোসেনের (মঞ্জু) সঙ্গে। তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বলেন, নির্বাচিত মাদক-সন্ত্রাসমুক্ত সবুজ পরিকল্পিত নগরী গড়াই থাকবে মূল লক্ষ্য। রেজাউল করিম রাজা জানান, দল তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচন করবেন। ভালো মানুষের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হউক এটিই তার প্রত্যাশা। মো. মাসুদ বলেন, মন থেকে চাইলে মাদক পরিপূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব। অনেকে সোসাইটির নামে ব্যবসা করছে, শ্রেণি বিন্যাস করছে। এগুলো বন্ধে যা যা করার তাই করব।

সর্বশেষ খবর