শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ডাকসু ভিপির ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান মেননের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ডাকসু ভিপির ওপর হামলার পুনরাবৃত্তি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন এ ধরনের ঘটনাকে কেউ যেন পাকিস্তান আমলের ছাত্র সংগঠন এনএসএফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ না পায়। গতকাল দুপুরে ঢাকার ওয়ার্কার্স পার্টি কার্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর নেতাদের সঙ্গে ‘ডাকসু’ ভিপি হিসেবে সে সময়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। মেনন বলেন, ‘ডাকসু’ কেবল ছাত্রদের নয়, এটা জাতীয় প্রতিষ্ঠান। ভাষা আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনায় ‘ডাকসু’ নেতৃত্ব দিয়েছে। ‘ডাকসু’ সব দল ও মতকে প্রতিনিধিত্ব করে। এই সংগঠনের দুই দশকের ওপর নির্বাচন না হওয়ায় জাতীয় রাজনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতীয় নেতৃত্ব গঠন পিছিয়ে পড়েছে। রাশেদ খান মেনন বলেন, বিভিন্ন দলের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও ‘ডাকসু’ ভিপির নেতৃত্বেই সব ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে সভা করতেন এবং সিদ্ধান্ত নিতেন। সাবেক ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমদ এভাবেই উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানকালীন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মুখপাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। তার নেতৃত্বেই সভা হতো। আর সেখানে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন উভয় গ্রুপ ও এনএসএফের একাংশও যুক্ত ছিল। এর ব্যতিক্রম প্রথমে ঘটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তৎকালীন গভর্নর মোনেম খানের আসাকে কেন্দ্র করে। ছাত্র সমাজের বিরোধিতাকে বাধা দিতে এনএসএফের গুন্ডাবাহিনীর ডাকসু অফিসে সর্বদলীয় ছাত্র সংগঠনের সভায় আক্রমণ করেছিল। কিন্তু ছাত্রদের প্রতিরোধে তা ব্যর্থ হয়। এ ছাড়া পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা দু-একবার ঘটেছে। কিন্তু ‘ডাকসু’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবসময়ই সব ছাত্রসংগঠনকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। ‘ডাকসু’র মর্যাদা ক্ষুণœ হোক এ ধরনের ঘটনা হতো না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী আবদুল মোতালেব জুয়েল, সহ-সভাপতি অতুলন দাস আলো, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসাম খান ফয়সাল প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর