সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিজেএমসির লোকসানি প্রতিষ্ঠান লাভজনক করতে স্কপের ফর্মুলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

লোকসানি অপবাদ ঘুচিয়ে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনকে (বিজেএমসি) লাভজনক করে তুলতে সরকারের কাছে তিন ধাপে মিলগুলো আধুনিকায়নের দাবি জানিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ)। এ সময় তারা বলেন, এক সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান বিজেএমসি আজ লোকসানি প্রতিষ্ঠানের অপবাদ নিয়ে ধুঁকছে। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ২৬ হাজার স্থায়ী শ্রমিক, কয়েক লাখ বদলি শ্রমিক এবং কয়েক কোটি কৃষকের পরিবার চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে নয়া ফর্মুলা দিয়ে তারা বলেন, বিজেএমসি পরিচালিত কারখানাগুলোতে শত বছরের পুরনো স্কটল্যান টেকনোলজি সংস্কার করলেও উৎপাদন ক্ষমতা খুব বেশি বাড়বে না। এসব পরিবর্তন করে আধুনিক মেশিনারিজ স্থাপন, শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক নিয়মে পরিচালনা করা হলে বিজেএমসি আত্মনির্ভরশীল হবে। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-এর সাগর-রুনি মিলনায়তনে গতকাল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) এসব তথ্য তুলে ধরেন।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্কপের নেতা ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সভাপতি শাহ মো. আবু জাফর, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক আমিন, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামীম আরা প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমানে বিজেএমসি পরিচালিত ২২টি কারখানায় তিন ধরনের ১০ হাজার ৮৩৫টি তাঁত রয়েছে। এসব কারখানার বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা ৭৩ মেট্রিক টন। কিন্তু তাঁতগুলো পুরাতন হয়ে যাওয়ার কারণে উৎপাদনক্ষমতা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এগুলো সংস্কার করলেও উৎপাদনক্ষমতা খুব বেশি বাড়বে না। জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু বলেন, বিজেএমসিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হলে কারখানাগুলোর পুরাতন যন্ত্রপাতি পরিবর্তন করতে হবে। আধুনিক স্বয়ংক্রিয় তাঁত প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করে মাথাপিছু ব্যয় কমানোর কৌশল গ্রহণ করতে হবে। এ সময় তিনি ৬ হাজার ২৩২টি হেসিয়ান তাঁতের পরিবর্তে চায়না থেকে বিভিন্ন মডেলের ৩ হাজার আধুনিক তাঁত স্থাপন করে সমপরিমাণ উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানান। এ ছাড়া তিন হাজার ৬৯৬টি সেকিং তাঁতের পরিবর্তে দুই হাজার আধুনিক তাঁত স্থাপন এবং স্পিনিং, ড্রয়িং, প্রিপারিং ও বেচিং বিভাগের যন্ত্রপাতি আধুনিকায়নের মাধ্যমে এই খাতকে লাভজনক করা সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে সরকারের জরুরি পদক্ষেপ দাবি করেন।

সর্বশেষ খবর