মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল

নিজস্ব প্রতিবেদক

শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল

চলমান শৈত্যপ্রবাহ কমে আসতে শুরু করেছে। আগামী দুই দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তবে গতকালও তিনটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি। এদিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গতকালও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান গত সন্ধ্যায় জানান, শৈত্যপ্রবাহ চলা অঞ্চলগুলোতেও আর বিস্তার লাভ করবে না। ক্রমে রাতের তাপমাত্রা বাড়বে। আবহাওয়া অধিদফতরের আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়- টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আগামী দুই দিনে সারা দেশের রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে সপ্তাহের শুরুতে হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল তিনটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি। সকাল ৭টায় দোহা থেকে উড়ে আসা রিজেন্ট এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি ঘন কুয়াশায় অবতরণ করতে পারেনি। সেটি আকাশে আধঘণ্টা অবস্থান করে। পরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চলে যায়। বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার ই জামান বলেন, সকাল ৮টা ২২ মিনিটে দোহা থেকে আসা ইউএস বাংলার ফ্লাইটও নামতে না পেরে ঢাকা চলে যায়। ৮টা ২৬ মিনিটে মাসকাট থেকে আসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৭৮৭ ড্রিমলাইনার প্লেনটি। সেটিও ঢাকা ফিরে যায়। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে নোয়াখালীতে। প্রচ- ঠান্ডায় শুধু শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে দুই শতাধিক শিশুরোগী। শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, জ্বর, পাতলা পায়খানাসহ ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে চিকিৎসা নিচ্ছে এসব শিশু। রোগী অনুপাতে চিকিৎসক, ওষুধ, অক্সিজেন, খাদ্য ও বেড পর্যাপ্ত না হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পঞ্চগড়ে গতকাল ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৭টায় দেখা মেলে সূর্যের। আলোময় দিন শুরু হলেও এ সময় তাপমাত্রার পারদ নিচে নামতে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে কনকনে ঠান্ডা। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শীত, ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় নাকাল হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও চাষিরা। ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপে শ্বাসকষ্টসহ ডায়রিয়ায় ভুগছে শিশু ও বৃদ্ধরা। তীব্র শীতের কারণে ফসলের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর