বুধবার, ১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

১৪ নারী মুক্তিযোদ্ধাকে ঢাকায় সম্মাননা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা ১৪ নারী মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘গৌরব৭১’। গতকাল ঢাকার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। সংবর্ধিত নারী মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- অধ্যাপক মমতাজ  বেগম, ফরিদা খানম সাকি, রমা দাস,  হিরন্মময়ী দাস রুনু, কৃষ্ণা রহমান, মৃণালিনী ওঝা, পদ্মা রহমান, ডা. মাখদুমা নার্গিস, কল্যাণী ঘোষ, কনক প্রভা মন্ডল, বুলবুল মহলানবিশ, শাহীন সামাদ, শারমিন মুরশিদ ও ডালিয়া নওশীন।

শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন ও ইউএসএ(ইন্ক)-এর সহযোগিতায় ‘গৌরব৭১’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজ আলম বেগ, এসপি মাহবুবুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, ঢাকার কর কমিশনার হাসানুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৌরব’৭১ সভাপতি এসএম মনিরুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এফএম শাহিন। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নারীরা কী অবদান রেখেছেন, তা মুক্তিযোদ্ধাদের লেখা চিঠিতে পাওয়া যায়। সে সময় মা-বোনেরা খাবার ও আশ্রয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। তাই নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩০০ তথ্যটি সঠিক নয়। আবদুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নারীরা অবদান না রাখলে এই দেশ স্বাধীন হতো কিনা সন্দেহ। নারীরা কেউ রণাঙ্গনে সশস্ত্র যুদ্ধ করেছেন, কেউবা বীরাঙ্গনা হয়েছেন। ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, দেশে কোনো নারী রাজাকার দেখি না। নারীরা সবাই স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন। নিজের স্বামী-সন্তানকে যুদ্ধে পাঠিয়েছেন। কেউ ফিরে এসেছেন, কেউবা আসেননি। কিন্তু তারা আক্ষেপ করেননি। 

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অপশক্তিরা ভেবেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে পারবে কিনা। কিন্তু বাংলাদেশ শুধু স্বাধীনতাই রক্ষা করেনি, বরং কিছু সূচকে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে।

সর্বশেষ খবর