তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে আমরা ক্রমাগত যন্ত্রে রূপান্তরিত হচ্ছি, আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছি। এই প্রেক্ষাপটে মানুষের মানবিকতা সংরক্ষণের জন্য সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা বৃদ্ধি প্রয়োজন। জাতিগত সংঘাত ও মানুষে-মানুষে লড়াই বন্ধ করে শান্তির পৃথিবী গড়তে সাহিত্যচর্চাই হচ্ছে অনন্য হাতিয়ার। বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব আয়োজিত আন্তর্জাতিক লেখক দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘শান্তির পৃথিবী চাই’ স্লোগানে গতকাল বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন। রাইটার্স ক্লাবের সভাপতি কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি কাজী রোজী, স ম শামসুল আলম, ঝর্ণা রহমান, নাহিদা আশরাফী, রাইটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ দুলাল, সোহাগ সিদ্দিকী, রিশাদ হুদা, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, নাহার ফরিদ খান, নাসিমা রহমান শিউলি, নূরিতা নূসরাত, নাসরিন ইসলাম প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গত শতকে মানুষ চাঁদে পৌঁছেছে, এই শতকে মঙ্গলগ্রহে পৌঁছানোর চেষ্টায় রত। এই পৃথিবীতে ক্ষুধা-দারিদ্র্য থাকার কথা নয়। কিন্তু এখনো বিশ্বে প্রতি ১০ জনে ৫ জন খাবার নষ্ট করে। আর চারজন ভরপেট খাবার পায় না। এ অশান্তি দূর করতে লেখক দিবসের স্লোগান ‘শান্তির পৃথিবী চাই’ অত্যন্ত সময়োপযোগী। সেই সঙ্গে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই’ স্লোগানটি এই দিবসে যুক্ত করায় রাইটার্স ক্লাবকে অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। আমরা ইতিমধ্যেই ক্ষুধাকে জয় করেছি, দারিদ্র্যকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে চলছি।
জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শুধু অর্থনৈতিকভাবে উন্নত রাষ্ট্রই নয়, জাতিগতভাবেও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চান। আর সেই ক্ষেত্রে কবি-লেখক-সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা অনন্য।
