শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

তারুণ্যের দৃষ্টি ছিল বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে

নিজস্ব প্রতিবেদক

তারুণ্যের দৃষ্টি ছিল বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে

রাজধানীর শেরেবাংলানগরে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় তেমন দেখা যায়নি। ছবিটি বিকালে তোলা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রত্যাশা ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জমবে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা- ডিআইটিএফ ২০২০। কিন্তু গতকাল দিনভর বৃষ্টিতে ক্রেতা- দর্শনার্থীদের শূন্যতায় তৃতীয় দিনেও জমেনি মেলা। ফলে মেলার বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়নের বিক্রয় কর্মীদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। তবে মেলায় আসা তরুণদের দৃষ্টি ছিল বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে। এদিকে মেলায় অংশ গ্রহণকারী অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো তাদের স্টল ও প্যাভিলিয়ন প্রস্তুত করতে পারেনি। সব মিলিয়ে বাণিজ্য মেলা এখনো প্রাণ ফিরে পায়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোÑইপিবি আয়োজিত রাজধানীর শেরেবাংলা নগর প্রাঙ্গণে ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আয়োজকরা জানিয়েছেন, দেশি ও বিদেশি সব ক্রেতা- দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত। মেলায় প্রবেশ টিকিটের দাম প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, ব্রুনাইসহ ২১টি দেশের বিভিন্ন কোম্পানি অংশ নিয়েছে। এবারের মেলায় ৪৮৩টি স্টল ও প্যাভিলিয়নে দেশ-বিদেশের পণ্য বেচাকেনা হবে। এ সবের মধ্যে ১১২টি প্যাভিলিয়ন, ১২৮টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৪৩টি স্টল আছে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সাল থেকে মাসব্যাপী এ মেলা হয়ে আসছে।

গতকাল সরেজমিন মেলা প্রাঙ্গণে দেখা যায়, প্রবেশ গেটে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের কোনো ভিড় নেই। দু-এক জন করে ক্রেতা-দর্শনার্থী মেলায় আসছেন। তাদের মধ্যে তরুণই বেশি। আছেন অনেক যুগলও। তাদের বড় অংশই মেলায় প্রবেশ করে প্রথমেই এগিয়ে যান বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে দেশি-বিদেশি ক্রেতা-দর্শনার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে জানাতে এবারও বাণিজ্য মেলায় স্থাপন করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন’। বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নের প্রবেশ দ্বারেই আছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। ভিতরে ঢুকতেই চোখে পড়বে আর্টিফিশিয়াল (কাঠের তৈরি) বই। যেখানে বঙ্গবন্ধুর নানা কথা তুলে ধরা হয়েছে। এর পাশে রয়েছে, সারিবদ্ধ একাধিক সেলফ, যেখানে সাজানো আছে জাতির পিতার ওপর লেখা নানা বই। মেলায় আগতরা যাতে বই পড়ে বঙ্গবন্ধুকে আরও ভালো করে জানতে পারেন, সেজন্য রাখা হয়েছে টেবিলও। পুরো প্যাভিলিয়নজুড়ে রয়েছে- বঙ্গবন্ধুর নানা উক্তি এবং তাকে নিয়ে নানা লেখা। প্যাভিলিয়নের পশ্চিম দেয়ালে ঠাঁই পেয়েছে শেখ পরিবার। যেখানে আছে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের পারিবারিক ছবি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ নানা ধরনের ছবি।

মেলায় আসা অধিকাংশ তরুণ দর্শনার্থী প্যাভিলিয়নটি ঘুরে ঘুরে দেখছেন। তাদের অনেকেই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সঙ্গে ছবি তুলছেন। অনেকে আবার প্যাভিলিয়নের মধ্যে বই পড়ে সময় পার করছেন। মেলায় এসে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পেরে আনন্দিত তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী শবনম বিনতে রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন- এখানে বঙ্গবন্ধুর কিছু দুর্লভ ছবি দেখে ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এ প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যে ভিডিও চিত্র দেখানো হয়েছে, তা আমার হৃদয় ছুঁয়েছে।

সর্বশেষ খবর