পটুয়াখালীর এক আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ৭ লাখ টাকা দাবি করায় ফয়সাল হোসেন (৩৪) নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গতকাল তাকে আদালতে হাজির করা হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
ফয়সাল বেসিক ব্যাংকের বাবুবাজার শাখায় কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার রাতে ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে শেরেবাংলানগর থানা পুলিশ। শেরেবাংলানগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আফজাল হোসেনের স্ত্রী শামসুন্নাহার গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ৭ লাখ টাকার চুক্তিতে ফয়সাল এ সাক্ষাতের সুযোগ করে দেন। প্রাথমিকভাবে তিনি তিন দফায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে নেন। গত ২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শামসুন্নাহার দেখা করার পরপরই বাকি টাকার জন্য চাপ দেন ফয়সাল। টাকার জন্য তিনি শামসুন্নাহারের ভাইকে জিম্মি করে রাখেন। এজন্য ওই দিন গণভবন থেকে বেরও হতে পারছিলেন না শামসুন্নাহার। বিষয়টি গণভবনে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জানান তিনি। পরে শেরেবাংলানগর থানা পুলিশকে অবহিত করে ফয়সালের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জিম্মি করার অভিযোগ এনে মামলা করেন শামসুন্নাহার। পুলিশের তৎপরতা আঁচ করতে পেরে ওই রাতেই শামসুন্নাহারের ভাইকে ছেড়ে দেন ফয়সাল। জানা গেছে, শামসুন্নহারের স্বামী সাবেক পৌর মেয়র স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন নেতা। বর্তমানে তিনি অসুস্থ। এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে সুদৃষ্টি পাওয়ার আশায় গণভবনের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে ফয়সালের সঙ্গে কিছুদিন আগে তার পরিচয় হয়। পরে ফয়সাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৭ লাখ টাকা চান।
