মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ৩০০ পৃষ্ঠার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে ৩০০ পৃষ্ঠার দুর্নীতির অভিযোগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একাংশ।

‘দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজ’ ব্যানারে আন্দোলনকারী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একাংশ শনিবার ‘উপাচার্যের দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত’সংবলিত ১৭টি অভিযোগের সংযুক্তিসহ ৩০০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন ওই সব দফতরে জমা দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকদের একজন অধ্যাপক সুলতানুল-উল ইসলাম।

৩০০ পৃষ্ঠার এ অভিযোগপত্রে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ১৭টি খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের এসব অভিযোগে আছে, উদ্দেশ্যমূলক শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার অস্বাভাবিক পরিবর্তন এবং দুর্নীতি করে নিজ কন্যা, জামাতাসহ বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে কম যোগ্যদের নিয়োগ, বাড়ি ভাড়া নিয়ে দুর্নীতি, উপাচার্যের অবসর গ্রহণ, পুনরায় দায়িত্ব পালন এবং রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যকে অসত্য তথ্য প্রদান, অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়াকে উপ-উপাচার্য নিয়োগ ও তাঁর নিয়োগবাণিজ্য, বিভিন্ন নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি, বিভিন্ন বিভাগে সভাপতি নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি, উদ্দেশ্যমূলকভাবে অফিসার, সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের নিয়োগ নীতিমালার পরিবর্তন এবং গণহারে অযোগ্যদের অ্যাডহক নিয়োগদান, উন্নয়নে সমন্বয়হীনতা ও অর্থের অপচয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়কদের দায়মুক্তি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইংরেজি বিভাগে এমএ পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তনের চেষ্টা।

এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনীহা, বাধা ও অবমাননা, দুষ্কর্মে সহযোগী না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনিরকে নিপীড়ন ও বেআইনিভাবে প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যানে তৈরি প্রকল্পে দুর্নীতি (শেলটেক), প্রশাসনে বিভাজন ও সমন্বয়হীনতা, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও অত্যাচার, নিয়োগবাণিজ্যের আদায়কারী, উপাচার্য প্রফেসর আবদুস সোবহানের প্রথম মেয়াদের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার।

আন্দোলনকারী শিক্ষক অধ্যাপক এস এম আক্রাম উল্লাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তথ্য-উপাত্ত আমরা জমা দিয়েছি। আমাদের তৈরি তালিকায় এসব অভিযোগ ছাড়াও উপাচার্যের বর্তমান ও অতীতের বেশ কিছু অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।’

সর্বশেষ খবর