শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রতীক বরাদ্দ, প্রার্থীদের শপথ

দক্ষিণে বিনা ভোটে চার কাউন্সিলর নির্বাচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতীক বরাদ্দ, প্রার্থীদের শপথ

প্রচারণায় আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, বিএনপির ইশরাক হোসেন, উত্তরের আতিকুল ইসলাম ও তাবিথ আউয়াল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামছেন প্রার্থীরা। ১৮ দিনের প্রচার শেষে ৩০ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ। এবার দুই সিটিতে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ মিলিয়ে মোট ৭৫৮ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে আছেন। প্রতীক পাওয়ার আগে ভোটের প্রচারের নিয়ম না থাকলেও বিধি লঙ্ঘন করে আগে থেকেই বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে দেখা গেছে। এ নিয়ে ইসিতে অভিযোগও হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়টি ‘কঠোরভাবে’ তদারকি করবেন তারা। এ সময় আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের শপথ পাঠ করার উত্তরের রিটার্নিং অফিসার। সকালে আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে (এনআইএলজি) উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এবং গোপীবাগের কমিউনিটি সেন্টারে দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রতীক বুঝে নেন মেয়র পদের প্রার্থীরা। মেয়র পদে দুই সিটির ১৩ প্রার্থীর সবাই ইসিতে নিবন্ধিত দলের মনোনীত হওয়ায় যার যার দলীয় প্রতীক নিয়েই তারা লড়বেন। আর কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ইসিতে নির্ধারিত প্রতীকের তালিকা থেকে প্রতীক বরাদ্দ করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এদিকে ঢাকা উত্তরে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ৫৪টি পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১৮টি পদে ৭৭ জন ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন। দক্ষিণে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ৭৫টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৩৩৫ জন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ২৫টি  পদে ৮২ জন এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দক্ষিণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৪ কাউন্সিলর প্রার্থী। উত্তরে ৬ মেয়র প্রার্থী : উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের পক্ষে ‘নৌকা’ প্রতীক বুঝে নেন তৌফিক জাহিদুর রহমান। বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক বুঝে নেন মোয়াজ্জেম হোসেন। ‘কাস্তে’ প্রতীক বুঝে নেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রার্থী আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল। এ ছাড়া প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপির শাহীন খান ‘বাঘ’, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ ‘হাতপাখা’ ও ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী আনিসুর রহমান দেওয়ান ‘আম’ প্রতীক বুঝে নেন। এ সময় উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, ভোটের যুদ্ধ চলে গেছে মাঠে। এই মাঠকে কোনো ক্রমেই আমরা ঘোলাটে করতে দেব না। নির্বাচনী উৎসবকে কোনো ক্রমেই সংঘর্ষের রূপ নিতে দেব না। মলিন হতে দেব না।

দক্ষিণের ৭ মেয়র প্রার্থী : দক্ষিণ সিটির আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে ‘নৌকা’ প্রতীক বুঝে নেন আলী আসিফ খান। বিএনপির ইশরাক হোসেন ‘ধানের শীষ’, জাতীয় পার্টির হাজী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মিলন ‘লাঙ্গল’, ইসলামী আন্দোলনের আবদুর রহমান ‘হাতপাখা’, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) বাহরানে সুলতান বাহার ‘আম’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আকতার-উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লা ‘ডাব’ এবং গণফ্রন্টের আবদুস সামাদ সুজন ‘মাছ’ প্রতীক বুঝে নিয়েছেন। এ সময় দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, কোনো ধরনের মিছিল, শো-ডাউন, বড় ধরনের জনসভা ও তোরণ নির্মাণ করা যাবে না। তবে ঘরোয়া বৈঠকে প্রার্থীরা অংশ নিতে পারবেন।

দক্ষিণে বিনা ভোটে পার ৪ কাউন্সিলর : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৪ কাউন্সিলর প্রার্থী। দুটি সাধারণ ওয়ার্ড ও দুটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রত্যাহারের শেষ দিনে একক প্রার্থী হওয়ায় রিটার্নিং অফিসার আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চারজনই আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী। তারা হলেনÑ ২৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের মো. আনোয়ার ইকবাল, ৪৩ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের মো. আরিফ হোসেন (বর্তমান কাউন্সিলর) ও সংরক্ষিত আসন ৬ নম্বরে (১৬, ১৭, ২১ সাধারণ ওয়ার্ডের সমন্বয়ে) নারগিস মাহতাব (বর্তমান কাউন্সিলর) এবং সংরক্ষিত ৮ নম্বর আসনের (২২, ২৩, ২৬) নিলুফার রহমান। উত্তর সিটিতে কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হননি। ৩০ জানুয়ারি ভোট শেষে সবার সঙ্গে এ চার প্রার্থীরও ফলাফল গেজেটে প্রকাশ করা হবে।

সর্বশেষ খবর