বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

দ্বন্দ্ব প্রকট, হচ্ছে না সম্মেলন

রাজশাহী আওয়ামী লীগের রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

কেন্দ্রীয় নেতাদের কড়া হুঁশিয়ারির পরও শুরু হয়নি রাজশাহীর উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন দলের নীতিনির্ধারণী নেতারা। তারা বলছেন, দলের ভিতরে দ্বন্দ্ব প্রকট হওয়ায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। গত ৮ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ায় এখন আরও স্থিমিত হয়ে পড়েছে উপজেলা সম্মেলনের কার্যক্রম। তবে এরই মধ্যে কোনো কোনো উপজেলায় সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রাজশাহীর উপজেলা পর্যায়ে তিন বছরের জন্য গঠিত আওয়ামী লীগের কমিটিগুলোর মেয়াদ শেষ হয়েছে কয়েক বছর আগেই। অথচ দল ক্ষমতায় থাকার পরও কেবল নেতাদের কোন্দলের কারণে সঠিক সময়ে সম্মেলন করা যায়নি। এ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। দলটি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা সম্মেলন না হলেও অনির্ধারিতভাবে জেলার সম্মেলন করতে হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক।

দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘যেই রাজশাহীতে আলবদর আলশামস তৈরি হয়েছে, বাংলাভাইয়ের জন্ম হয়েছে, সেই জেলার সঙ্গে অন্য ৬৩ জেলার রাজনীতি মেলালে চলবে না। বিশৃঙ্খলার কারণে দলের কোনো ক্ষতি মেনে নেওয়া হবে না জানিয়ে শিগগিরই উপজেলা সম্মেলনের তাগিদ দেন তিনি। রাজশাহীর উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি নজরে আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, উপজেলাগুলোতে কী রোগ আছে তা জানতে সব উপজেলাতে যাওয়া হবে। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের সতর্কবার্তার আগেই বাগমারায় ওয়ার্ড পর্যায়ের সম্মেলন হয়েছে প্রত্যক্ষ ভোটে। এবার ইউনিয়ন ও উপজেলার সম্মেলন শুরু হওয়ায় হাওয়া লেগেছে। বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক এমপি বলেন, বড় দলে অনেক মতভেদ থাকে। এটি রাজনীতির একটি সৌন্দর্য হিসেবেও ধরে নেওয়া যায়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা বলেন, কয়েক দিন আগেই তারা দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন সব উপজেলার খোঁজখবর নিচ্ছেন। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। দ্বন্দ্বের কারণ খুঁজে সেগুলো নিরসনের চেষ্টা করছেন বলে তিনি জানান। রাজশাহীর ৯টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে। ফলে দলের কার্যক্রম চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে।

সর্বশেষ খবর