বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বীকৃতি পেল গোল্ডেন পেরিলা

ওলী আহম্মেদ, শেকৃবি

স্বীকৃতি পেল গোল্ডেন পেরিলা

পেরিলা। বৈজ্ঞানিক নাম Perilla frutescens । সম্প্রতি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় পেরিলার সফল অভিযোজন সম্পন্ন হয়েছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে (শেকৃবি)। গত ১২ জানুয়ারি জাতীয় বীজ বোর্ড ‘সাউ পেরিলা-১ (গোল্ডেন পেরিলা বিডি)’ নামে

পেরিলার নতুন এ জাতটির নিবন্ধন প্রদান করেছে। জাতটি সারা দেশে উৎপাদনক্ষম। শেকৃবি কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এইচ এম এম তারিক হোসাইনের অধীনে কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম মজুমদার পিএইচডি গবেষণায় পেরিলা নিয়ে গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। গোল্ডেন পেরিলার নিবন্ধন প্রত্যয়নপত্রে বলা হয়েছে, ‘পেরিলা একটি ভোজ্যতেল ফসল যার শতকরা ৬৫ ভাগই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।

এর তেল আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী বিশেষত হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্ক ও ত্বকসহ ডায়াবেটিস রোগে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।’ গবেষক আবদুল কাইয়ুম বলেন, মূলত মানুষের সুস্বাস্থ্য ও দেশীয় জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের দিককে গুরুত্ব দিয়ে আমরা এ গবেষণা বেছে নিয়েছিলাম। মূল জমিতে পেরিলার জীবনকাল ৭০ থেকে ৭৫ দিন হওয়ায় সহজেই এটিকে চার ফসলি জমির আওতায় আনা সম্ভব হবে। পেরিলার প্রতিটি পুষ্পমঞ্জুরিতে ১০০ থেকে ১৫০টি বীজ পাওয়া যায় বিধায় অন্য তেল ফসল থেকে এর উৎপাদনমাত্রা বেশি হওয়ার দাবি রাখে। গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ড. তারিক বলেন, পেরিলার পাতা সবজি হিসেবে ও বীজকে তেল উৎপাদনে কাজে লাগিয়ে প্রধানত দুইভাবে এর ব্যবহার করা যায়। ফুল আসলে পেরিলা খেতে মৌমাছির ব্যাপক আনাগোনা বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষেও সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। আমাদের দেশে চাইনিজ, কোরিয়ান ও থাই রেস্টুরেন্টগুলোতে বাইরে থেকে পেরিলা আনা হয়, সেক্ষেত্রে দেশে পেরিলা চাষের বিস্তৃতি আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে।

গোল্ডেন পেরিলার ভবিষ্যৎ চিন্তা নিয়ে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত বীজ আছে। আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রদর্শনী প্লট বাস্তবায়নের মাধ্যমে চাষিপর্যায়ে জাতটি ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

সর্বশেষ খবর