রাজধানীর সন্নিকটে টঙ্গীর কহর দরিয়া খ্যাত তুরাগ নদের তীরে আগামী ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হবে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। মাওলানা সা’দ অনুসারীরা ময়দান বুঝে পাওয়ার পর এগিয়ে চলছে সব প্রস্তুতি। আগত মুসল্লিদের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ১৬০ একর বিস্তৃত ইজতেমা ময়দান। দ্বিতীয় পর্বে ময়দানে প্রস্তুতে তেমন একটা কাজ না থাকলেও ময়লা আবর্জনা ও ময়দানে নির্গত ড্রেনের বর্জ্য পরিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ময়দানের উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত মূল বয়ান মঞ্চের চারদিকে ময়লার দুর্গন্ধ, দ্রুত পরিষ্কার না হলে মুসল্লিদের অবস্থান নেওয়া মুসকিল হয়ে দাঁড়াবে। তবে আয়োজক কমটির লোকজন বলছে ময়লা আবর্জনা অপসারণের কাজ প্রায় শেষ। ময়দান ঘুরে জানা যায়, গত সোমবার রাতে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের কাছে ময়দানের মাইক, লাইট, সামিয়ানার চটসহ যাবতীয় মালামাল বুঝিয়ে দেন মাওলানা যোবায়ের অনুসারী মুরুব্বিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিনুর ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবু হানিফ, টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি এমদাদুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ও দুই পক্ষের মুরুব্বিরা।
এদিকে কামার পাড়া ব্রিজ সংলগ্ন ২নং টয়লেটের পাশের সড়ক ও জনপদের স্যুয়ারেজ লাইন বন্ধ হয়ে নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি বয়ান মঞ্চের আশপাশসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে মনুষ্য নির্গত বর্জ্য ও বিভিন্ন কলকারখানার ময়লা মিশ্রিত পানির উৎকট গন্ধে ময়দানে চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। দ্বিতীয় পর্বের নির্ধারিত সময়ের পূর্বে এসব ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করা হলে আগত মুসল্লিরা চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হবেন। মাওলানা সা’দ অনুসারী আয়োজক কমিটির সদস্য হাজী মনির বলেন, আমরা মাঠ বুঝে পেয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের প্রস্তুতি কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আজ ও কালের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন হবে। টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, মুসল্লিদের নিরাপত্তায় প্রথম পর্বের ন্যায় দ্বিতীয় পর্বেও বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সিটির পক্ষ থেকে বর্জ্য অপসারণে প্রায় তিনশ শ্রমিক কাজ করছে। তারা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রথম পর্বের মুসল্লিদের ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া ১৬ টনের ১০টি গার্বেজ ট্রাক, ৪ টনের ১৪টি, পে-লোডার ৬টি ও ২টি বেকু ময়লা অপসারণে কাজ করছে। আশাকরি আজকের (গতকাল) মধ্যেই ইজতেমা ময়দানের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ শেষ হবে এবং মুসল্লিরা নির্বিগ্নে ময়দানে অবস্থান নিয়ে ইজতেমায় শরিক হবেন।