যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ক্যালেন্ডারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃতির ঘটনায় ভিসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের         সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এক মাসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ভিসি ছাড়া অন্য দুই কর্মকর্তা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে এই তিন কর্মকর্তার দোষ পাওয়ার কথা জানিয়েছিল তদন্ত কমিটি। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান। যবিপ্রবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এম সাইফুদ্দিন আহমেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। গত ৪ নভেম্বর যবিপ্রবির ভিসি, রেজিস্ট্রার এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা আদালতে হাজির হয়ে ছবি বিকৃতির জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। তবে আদালত জানিয়েছিল, ছবি বিকৃতি প্রমাণিত হলে ছাড় দেওয়া হবে না। যবিপ্রবির ক্যালেন্ডারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃতির অভিযোগে রিট দায়ের করেন যশোর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বিপুল। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পরামর্শে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়। ওই প্রতিবেদনে ছবি বিকৃতির সত্যতা এবং এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায় খুঁজে পায় তদন্ত কমিটি।