নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ফ্ল্যাটে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবারকে মীমাংসায় বসার হুমকি দেওয়ায় আনিসুর রহমান শ্যামল নামে ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে কাশিপুর ইউনিয়নের খিলমার্কেট এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ধর্ষক তুর্জকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এদিকে দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষণকারী তুর্জ ও যুবলীগ নেতা শ্যামলের ছবি তুলতে গেলে শ্যামলের সন্ত্রাসীরা গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। পরে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ লিটন নামের এক যুবলীগ ক্যাডারকে আটক করেছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, প্রায়ই খিলমার্কেট এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে তুর্জ (১৯) পথরোধ করে কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এ বিষয়ে কিশোরীর বাবা-মা কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামলের কাছে বখাটে তুর্জের বিচার দাবি করেন। এতে শ্যামল উল্টো কিশোরীর বাবা-মাকে গালি গালাজ করে ভয়ভীতি দেখান। এ ঘটনার কয়েকদিন পর ১৯ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে তুর্জ তাদের ফ্ল্যাটে নিয়ে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে কিশোরী যথাসময়ে বাসায় না ফেরায় তার বাবা-মা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে অবশেষে রাত ৯টায় তুর্জের বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় উদ্ধার করে। ওই সময় যুবলীগ নেতা শ্যামল বিচার করার কথা বলে তার ক্লাবঘরে নিয়ে কিশোরীর বাবা-মাকে দীর্ঘ সময় বসিয়ে রাখে। এর মধ্যে ধর্ষক তুর্জ পালিয়ে যায়। এদিকে দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানা থেকে আদালতে প্রেরণের সময় ধর্ষক তুর্জ ও তার সহযোগী আনিছুর রহমান শ্যামলের ছবি তুলতে যান গণমাধ্যমকর্মীরা। এ সময় শ্যামলের সন্ত্রাসীরা গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম জানান, দুপুরে থানার প্রধান ফটকের সামনে কিছু গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলার খবর পেয়ে অন্য গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আমরা ধাওয়া করে লিটন নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।