বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি প্রার্থীদের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণাও এ সরকার     সহ্য করছে না। তিনি বলেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে  আসছে, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর সমর্থক সন্ত্রাসী বাহিনীর    হিংস্রতা ততই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণায় সন্ত্রাসীদের হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং কাপুরুষোচিত। ঢাকার দুই সিটিতে একতরফাভাবে নির্বাচন করে নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্যই প্রতিদিন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় বর্বরোচিত হামলা চালানো হচ্ছে। তবে জনতার উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণ গুঁড়িয়ে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন এবং উত্তর সিটির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রচারণায় হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচারের দাবি জানান।

 মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় প্রতিদিনই মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সরকারি দলের সমর্থক সন্ত্রাসীরা হামলা করছে। এমনকি দায়িত্বরত সাংবাদিকরাও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। সোমবারও তাবিথ আউয়ালের প্রচারণায় বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে। 

এই ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মূলত দেশ এখন গণতন্ত্রহীন। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই বর্তমান বিনা ভোটের সরকার বিরোধী দল ও মতকে গ্রাহ্য করছে না। মানুষের কল্যাণ নয়, বরং ক্ষমতার দাপটে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে ভোট ডাকাতি ও ভোট কারচুপি করে গোটা দেশকে নিজেদের সম্পত্তি বানাতে চায় তারা। এই উদ্দেশ্য সাধনে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গায়ের জোরে ভোট গ্রহণে ইভিএম পদ্ধতি প্রয়োগে অনড় রয়েছে। আর এ কারণেই আজ্ঞাবাহী প্রধান নির্বাচন কমিশনার সরকারের মনোবাঞ্ছা পূরণে সক্রিয় রয়েছেন। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নিরবচ্ছিন্নভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদে ভোগ করার স্বপ্ন পূরণের জন্যই বিএনপিকে ধ্বংস করার মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধে কারাবন্দী রাখা হয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভয়ভীতিমুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আবারও আহ্বান জানান তিনি।