শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

এবারের গ্রন্থমেলার কেন্দ্রবিন্দুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

মোস্তফা মতিহার

এবারের গ্রন্থমেলার কেন্দ্রবিন্দুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

আর কদিন পরেই শুরু হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০। এ কারণে মেলার প্রস্তুতি ঘিরে উৎসবমুখর বাংলা একাডেমি ও স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ পাওয়ার পর নিজ নিজ স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রকাশকরা। নির্মাণ শ্রমিকদের হাতুড়ি-বাটালের ঠুকঠাক শব্দ আর সাজসজ্জার কাজে মুখরিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিস্তীর্ণ প্রান্তর। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবারের মেলার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ বছরের মেলার থিম থেকে শুরু করে সবকিছুই থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘিরে। যার অংশ হিসেবে বাংলা একাডেমি ইতিমধ্যেই হাতে নিয়েছে জাতির পিতাকে নিয়ে ১০০টি বই প্রকাশের বিশেষ কর্মসূচি। এর মধ্যে এবারের মেলাতেই প্রকাশিত হবে ২৬টি বই। আর মেলার প্রথম দিনে বাংলা একাডেমি প্রকাশ করবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত বই ‘আমার দেখা নয়া চীন।’ বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই  বইটি প্রকাশ করবে বাংলা একাডেমি। পুরো বইমেলার সাজসজ্জা থেকে শুরু করে মূল মঞ্চের সব আয়োজন, আলোচনা, সেমিনার, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, গান, আবৃত্তি, নৃত্য সবকিছুতেই থাকবে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ছোঁয়া। এবারের মেলায় ২৪ ফিট বাই ২৪ ফিটের প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ১৭টি, ২০ ফিট বাই ২০ ফিটের প্যাভিলিয়ন থাকছে ১৫টি, ৪ ইউনিটের স্টল নিয়ে অংশ নিচ্ছে ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান, ৩ ইউনিটের স্টল থাকছে ৪৭টি, ২ ইউনিটের ৯৫টি ও ১ ইউনিটের স্টল থাকছে ১৪৯টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের। অন্যদিকে শিশুদের জন্য থাকছে ৩ ইউনিটের ৭টি প্রতিষ্ঠান, ২ ইউনিটের ১৬টি প্রতিষ্ঠান ও ১ ইউনিটের ৪১টি প্রতিষ্ঠান। এবার প্যাভিলিয়নের সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৬টি। গতবারের চেয়ে স্টলও বেড়েছে শতাধিক।

বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের পরিসর অনেকখানি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে গ্লাস টাওয়ার-সংলগ্ন জলাধারের দিকে মেলার সীমানা বেষ্টনী দেওয়া হলেও এবার জলাধার-সংলগ্ন দক্ষিণ দিকের পুরো মাঠজুড়েই থাকবে মেলার পরিসর। এ ছাড়া টিএসসি-সংলগ্ন প্রবেশদ্বার ও মেলার মূল প্রবেশদ্বার দিয়ে চলাচল করা যাবে। মেলার ডিজাইনে আনা হয়েছে বৈচিত্র্যময় নান্দনিকতা। দর্শনার্থীদের অবাধ বিচরণের জন্য মেলা প্রাঙ্গণে রাখা হয়েছে প্রচুর খালি জায়গা। এ ব্যাপারে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, এবার শুরু থেকেই পরিকল্পনামাফিক কাজ করে যাচ্ছি। সব কাজ অন্যবারের চেয়ে একটু আগে শুরু করেছি, যাতে মেলা শুরুর আগেই সবকিছু সুন্দরভাবে শেষ করা যায়। আশা করছি এ বছর অনেক গোছানো ও পরিচ্ছন্ন একটি মেলা উপহার দিতে পারব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর